ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত

ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩। ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত

বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য স্কলারশিপ পাচ্ছে। সরকারিভাবে না যেতে পারলেও অনেকে বেসরকারিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। আপনি যদি গ্রাজুয়েশন অথবা পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন তবে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আজকের পোষ্টের মধ্যে আমরা আলোচনা করব স্টুডেন্ট ভিসায় কিভাবে ইতালি যাওয়া সম্ভব এবং স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যাওয়ার জন্য ঠিক কত টাকা খরচ করতে হবে। তাই আপনার যদি স্বপ্ন থেকে থাকে ইতালিতে পড়তে যাওয়া তবে আমাদের সাথে থাকুন।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি এমন একটি দেশ যেখানে বেশ কিছু বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি রয়েছে যেখান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করা যায়। গ্রাজুয়েশন ছাড়াও আপনি যদি পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার জন্য ইতালি যেতে চান তবে ইতালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কে বেছে নিতে পারেন। পিএইচডি করার স্বপ্ন যারা দেখে তারা অনেকেই ইতালিতে যাওয়ার কথা ভাবে। তবে ইতালিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা যতটা সহজ যাওয়া ঠিক তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। ইতালিতে যাওয়ার জন্য আপনার একটি সুন্দর একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা লাগবে এবং তার পাশাপাশি যথেষ্ট অর্থনৈতিক ব্যাকআপ থাকতে হবে।

সরকারি ভাবে যদি স্কলারশিপ পান সেক্ষেত্রে হয়তো খরচের পরিমাণ অনেক কম হতে পারে কিন্তু যদি ইতালিতে কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে চান তবে মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হবে। যেহেতু ইতালির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মান অনেক ভাল তাই অনেক টাকা খরচ হলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ইতালিতে পড়তে যেতে চায়। ইতালিতে পড়তে যাওয়ার আগে ইতালি সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য জেনে রাখা উচিত। সবকিছুর আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে ইতালিতে পড়তে যাওয়ার খরচ কেমন এবং যাওয়ার পরে সেখানে আর কি কি কাজে খরচ হতে পারে। এছাড়াও ইতালিতে থাকা খাওয়ার খরচ সম্বন্ধে যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে।

ইউরোপের প্রতিটি দেশেই থাকতে গেলে প্রতি মাসে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে প্রতিদিনের খাবার পেছনে মোটামুটি প্রায় ১ লাখ টাকা কাছাকাছি খরচ হয়ে যায়। তবে আপনি যদি কোন ধরনের পার্টটাইম জব করতে পারেন তবে আপনার কাছে থাকাটা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। ইতালির মুদ্রা ও বাংলাদেশী মুদ্রার মধ্যে কতটা পার্থক্য রয়েছে তা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আপনারা জেনে গেছেন। ঠিক এ কারণেই যথেষ্ট টাকা পয়সা না থাকলে ইতালিতে যাওয়ার পর অনেক কষ্ট হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার একাউন্টে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি টাকা থাকতে হবে। এছাড়াও ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এমন কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হবে।

পিএইচডি করার জন্য যেতে চাইলে আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন সেখানকার প্রফেসরের সাথে আগে থেকে যোগাযোগ করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে তারা কতদিন আপনার খরচ বহন করবে সে বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে ইতালি খুব কম সংখ্যক স্টুডেন্ট নেয়। অন্যান্য দেশগুলো যেমন জার্মানি, ইংল্যান্ড, আমেরিকার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক স্টুডেন্ট ইতালিতে যায়। তাই বলা যায় ইতালিতে যাওয়ার জন্য বেশ শক্ত একটি প্রতিযোগিতায় টিকতে হবে।

সরকারিভাবে ইতালি যেতে পারলে যে খরচ হবে বেসরকারিভাবে যেতে গেলে নিশ্চয় তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ করতেই হবে। স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যেতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলা যায়। তবে হ্যাঁ, এই টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন অথবা কেমন ভাবে যাবেন তারপর নির্ভর করে। এ বিষয়ে এজেন্টদের সাথে কথা বলে নিতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে অনেক এজেন্ট ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসায় শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *