যারা নতুনভাবে ব্লগিং শুরু করতে চাইছেন অথবা নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলতে চাইছেন তারা কিভাবে কোন কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনবেন সে বিষয় নিয়ে নিশ্চয়ই চিন্তিত রয়েছেন। কি কারনে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হয়, ব্লগিং কিভাবে শুরু করতে হয় এবং কোন কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনলে সবচেয়ে ভালো হবে সে বিষয়গুলো তুলে ধরব আমাদের আজকের লেখার মধ্যে। যারা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও ভালো কোন ডমেইন হোস্টিং কোম্পানির খোঁজ পাচ্ছেন না তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এছাড়াও ব্লগিং করে আপনি কিভাবে নিজের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্টের নিচের দিকে।
ব্লগিং সম্বন্ধে আপনাদের অনেকেরই খুব ভালো ধারণা রয়েছে। আপনার যদি লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনার লেখাগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে। ডোমেইন ও হোস্টিং সম্বন্ধে যাদের ধারণা নেই তারা জেনে নিতে পারবেন এগুলো আসলে কি।
আপনারা অনেকেই দেখে থাকবেন আশেপাশে অনেক মানুষ ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে আয় করতে পারছে পাশাপাশি ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারছে। এগুলো ছাড়াও নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করছে। আপনার নিজেরও যদি একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান থাকে তবে সেই প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ওয়েবসাইট খুলেই ফেলতে পারেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে ব্যবসা অথবা মার্কেটিং করতে হয় তাও জেনে নিতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে।
এখন আমরা কথা বলব মার্কেটিং এর জন্য ওয়েবসাইট কত বড় ভূমিকা পালন করে সে বিষয়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া একটি ব্যবসার প্রসার ঘটানো কখনোই সম্ভব নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইট খুব ভালো ভূমিকা পালন করতে পারে। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি এসইও করে উপরের দিকে নিয়ে আসতে পারেন তবে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে যে কোন পণ্যের প্রচার ঘটানো সম্ভব খুব সহজেই। এসইও এর পূর্ণরূপ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যারা নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে চাইছেন তারা কোন এসইও এক্সপার্টকে হায়ার করে আপনার পোস্টগুলো উপরের দিকে নিয়ে আসতে পারবেন। এভাবেই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট আপনাকে অনেক বড় সাহায্য করবে।
এখন আমরা কথা বলব এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অন্য কোন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে আপনি কমিশন লাভ করতে পারবেন। আপনার যদি একটি প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট থাকে তবে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্য কোন মানুষের পণ্য বিক্রি করে তার কাছ থেকে লাভের অংশ নিতে পারবেন। যদিও বাংলাদেশে এখনো এফিলিয়েট মার্কেটিং খুব বেশি শুরু হয়নি তবে অদূর ভবিষ্যতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টি সবার কাছে পরিচিত হয়ে যাবে। আপনারা যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তারা এখন থেকেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি যা যা করতে পারবেন সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা স্বল্পপরিসরে আলোচনা করলাম। এখন জেনে নেওয়া দরকার একটু ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে ভালো একটি কোম্পানি থেকে ডমেইন ও হোস্টিং কিনে নিতে হবে। এই পোস্টের নিচের দিকে আমরা বেশ কয়েকটি হোস্টিং কোম্পানির নাম তুলে ধরব। এই কোম্পানিগুলো থেকে আপনারা যে কোন সময় হোস্টিং কিনে নিতে পারবেন
অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে। প্রথম দিকে যদি কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন তবে বেশ কয়েকটি টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন। টিউটোরিয়াল লেখার পাশাপাশি অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তির পরামর্শ নেওয়া উচিত। কয়েকটি জনপ্রিয় হোস্টিং কোম্পানির নাম হলো, আইটি নাট হোস্টিং,এক্সনহোস্ট,Hostever,Dianahost ইত্যাদি। এছাড়াও বাংলাদেশে আরো কিছু হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে যেগুলো সম্বন্ধে আপনারা জেনে নিতে পারবেন এক্সপার্টদের রিভিউ দেখে।