কাতার এয়ারওয়েজ টিকেট চেক করার পদ্ধতি ও লিংক ২০২২

কাতার এয়ারওয়েজ টিকেট চেক করার পদ্ধতি ও লিংক ২০২৩

একেবারে সহজ এবং সিম্পল একটি তথ্য নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের জন্য। কাতার এয়ারওয়েজ যেটাকে অনেকে কাতার এয়ারলাইনস নামে চেনে সে সম্পর্কে আজকে একটু বিস্তারিতভাবে লিখতে চলেছি। রায়দিনি এই এয়ারওয়েজ নিয়ে অনেক নিউজ বিশ্বে ছাপাচাপি করা হয় তার কারণ হলো বিশ্বে অন্যতম বড় এয়ারওয়েজ গুলোর মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজ হচ্ছে একটি।

এই এয়ারওয়েজ সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে অবশ্যই আপনি আমাদের এই আর্টিকেল পড়তে পারেন এবং এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পারেন। একজন বাংলাদেশী যাত্রী হিসেবে আপনাকে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং কি কি প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে তা তার এয়ারওয়েজ এ জার্নি করতে হলে তা সম্পর্কে ধারণা পাবেন আমাদের এখান থেকে। তাহলে চলুন দেরি না করে সুন্দরভাবে আমরা আমাদের আর্টিকেলগুলো করি।

কাতার এয়ারওয়েজ হেড অফিস

কাতার এয়ারওয়েজ হেড অফিস বলতে বোঝানো হয়েছে প্রধান অফিসের কথা যেটা কাতারে অবস্থিত। এটা মূলত কাতারের রাষ্ট্র মালিকানাধীন এবং রাষ্ট্রীয় পতাকা বাহিরে একটি বিমান প্রতিষ্ঠান। এটার যে হেড অফিসের কথা বলা হয়েছে সাধারণত এটাকে সদর দপ্তর হিসাবে পরিচয় দেওয়া হয় যেটা কাতারের দোহায় অবস্থিত।

কাতার থেকেই মূলত এই প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে তাদের সেবা প্রদান করে আসছে। কাতার এয়ারওয়েজের আরবি যে উচ্চারণ আছে সেটা শুনলে অনেকেই খুশি হবেন আরবিতে আল কাতারিয়া নামক এই উচ্চারণ আসে। নিচে কাতার এয়ারওয়েজের আরো পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

কাতার এয়ারওয়েজ যাত্রীসেবা

আমি আগেই বলেছি বিশ্বে বড় বড় বিমান কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটি একটি এবং এই বড় কোম্পানি হিসেবে বিশ্বের বহু দেশে তার সেবা প্রদান করে আসছে। এয়ারকাপগুলো একটি হাব এবং স্পোক নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।

সারা বিশ্বের মধ্যে এই কোম্পানির হেয়ারকাটগুলো আফ্রিকা মহাদেশ এবং মধ্য এশিয়া মহাদেশ ইউরোপ মহাদেশ থেকে দূরপ্রাচ্য পর্যন্ত তাদের সেবা প্রদান করে আসছে। এছাড়া আপনি যদি দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় যাতায়াত করতে চান এর পাশাপাশি ওশেনিয়াতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি কাতার এয়ারলাইন্সে যাতায়াত করতে পারবেন।

বর্তমানে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানের সংখ্যা প্রায় ২০০ ছাড়িয়েছে তাই আপনারা ভাবতে পারছেন তারা কি পরিমান সেবা দিচ্ছে। সর্বপ্রথম ১৯৯৩ সালের ২২ নভেম্বর কাতার এয়ারওয়েজ চালু করা হয় যার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ২০ জানুয়ারি। এর প্রধান হাফ হচ্ছে হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

কাতার এয়ারলাইন্স ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট

কাতার এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে সেই দেশের নাগরিক এবং বাইরের দেশের নাগরিকরা তাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপের অনেক সুযোগ পেয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে তারা ২০০ অধিক প্লেনের মাধ্যমে তাদের সেবা প্রদান করে আসছে।

বর্তমানে কাতার এয়ারওয়েজে প্রায় ৪৩ হাজারের বেশি কর্মকর্তা চাকরি করছে। তাহলে আপনি ভাবতেই পারেন এখানে ক্যারিয়ার ডেভেলপ বা চাকরির জন্য কত বেশি সুযোগ থাকছে।

কাতার এয়ারওয়েজ অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

এয়ারওয়েজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি অতি সহজেই বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের ওয়েবসাইট এ ঢুকতে পারবেন এবং সেখান থেকে তথ্য নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর লিংক দেব সেই লিংক অনুযায়ী আপনারা কাতার এয়ারওয়েজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন।

www.qatarairways.com

কাতার এয়ারওয়েজ এ বাংলাদেশি যাত্রী

বর্তমানে বাংলাদেশে সহ বিশ্বে সারাদেশে এক মহামারীর কবলে পড়ার কারণে প্রত্যেকটি দেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধ দেখা ছিল এবং সেই রমন নিষেধাজ্ঞা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে। কাতার এয়ারওয়েজ থেকে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের জন্য ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল থেকে।

তবে অবশ্য এখানে কিছু নিয়মকানুন মেনে আপনাকে চলতে হবে। নিয়ম কানুন না জানা থাকলে বা নিয়ম কানুন না মেনে গেলে আপনাকে কোনভাবেই বোর্ডিং পাস দেওয়া হবে না। আপনাকে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ ডোজের ভ্যাকসিন দিতে হবে যাতে করে আপনি সে দেশে প্রবেশ করতে পারেন এবং ভ্যাকসিনের কাগজের মূল কপি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

সেখানে উপস্থিত হয়ে পিসিআর ল্যাবে নেগেটিভ হতে হবে এবং তারপরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্ট আইনে থাকতে হবে তারপরে পুনরায় আপনাকে পিসি আর লেভে টেস্ট করে নেগেটিভ হলে আপনাকে ছাড় দেওয়া হবে।।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *