দেশের বিভিন্ন স্থানে খুব সহজে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিকাশ ব্যবহার করা। বিকাশের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যে কোন মানুষের কাছে টাকা পাঠাতে পারি। খুব অল্প খরচে যে কোন অংকের টাকা প্রিয়জনদের কাছে পাঠাতে পারি একদম নিরাপদে। তবে কখনো কখনো আমাদের বিকাশ একাউন্ট ও নিরাপদ হয়ে ওঠে আমাদের কিছু ভুলের কারণে। এই ভুল গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কারো সাথে বিকাশের পিন শেয়ার করা।
অন্য কারো সাথে বিকাশের পিন শেয়ার করা ছাড়াও আমরা আরো কিছু ভুল করে থাকি যেমন বিকাশের পিন নাম্বার ভুলে যাওয়া। আমাদের এই ভুলগুলোর কারণে বিকাশ একাউন্ট লক হয়ে যেতে পারে। আজকের লেখায় আমরা জানতে পারবো বিকাশ একাউন্ট লক হলে আমাদের করণীয় কি। আপনারা যারা দীর্ঘদিন ধরে বিকাশ ব্যবহার করে আসছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত জানেন না বিকাশ একাউন্টে কোন ধরনের সমস্যা হলে কিভাবে সমাধান করতে হবে তাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটি ভীষণ কার্য করী হতে চলেছে। তাই শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন এবং বিকাশ সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সংগ্রহ করে ফেলুন খুব সহজেই।
টাকা পাঠানোর খুব সহজ একটি মাধ্যম হওয়ায় বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই বিকাশ ব্যবহার করে থাকে। প্রতিটি মানুষের বিকাশ একাউন্ট থাকলেও সবাই ঠিকভাবে বিকাশ একাউন্ট হ্যান্ডেল করতে পারে না। অনলাইন বেসিক সম্বন্ধে যাদের ধারণা একটু কম তারা বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারেনা। যদিও বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা লেনদেন করা যায় কিন্তু অনেকেই এই সিস্টেমটি খুব ভালোভাবে বুঝে না। আবার কেউ কেউ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিকাশের পিন ভুলে যায়।
কিছু দুষ্ট লোক বিকাশ ব্যবহারকারীদের কাছে ফোন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তাদের অ্যাকাউন্টটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে তারা নানা ধরনের প্রলোভন দেখাতে থাকে, অনেক মানুষ তাদের এই ফাঁদে পা দিয়ে বিকাশের পিন শেয়ার করে একাউন্টটি হারিয়ে ফেলে। যদি তাদের বিকাশ একাউন্টে টাকা থাকে তবে হ্যাকাররা সেই টাকা তুলে নেয়। আপনারা যারা এখন পর্যন্ত এ বিষয়গুলো জানেন না তারা এই পোস্ট থেকে তথ্যগুলো জেনে নিয়ে এখন থেকে সতর্ক হয়ে যাবেন। এছাড়াও অ্যাকাউন্ট লক হয়ে গেলে কিংবা আপনার বিকাশ একাউন্টে কোন ধরনের সমস্যার লক্ষ্য করলে কি কি করবেন সে বিষয়টি নিয়ে এখন কথা বলব।
বিকাশ একাউন্টে কোন ধরনের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। যেহেতু এটি একটি অনলাইন মাধ্যম তাই কোন ধরনের সমস্যার লক্ষ্য করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে তাই একাউন্ট যদি দীর্ঘ সময় লক হয়ে থাকে তবে তারা টাকা লেনদেনের সময় বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়। আপনি যদি ছোট্ট কিছু তথ্য জেনে রাখতে পারেন তবে আপনার বিকাশ একাউন্টটি মুহূর্তের মধ্যেই আনলক করে ফেলতে পারবেন। যে তথ্যগুলো আপনাকে জেনে রাখতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলেও বিকাশের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশের পিন লক হয়ে গেলে প্রথমে আপনাকে কি করতে হবে।
আপনার বিকাশ একাউন্ট কি লক হয়ে গেলে সরাসরি বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করতে হবে। বিকাশের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার হলো ১৬২৪৭। এই নাম্বারে ফোন করার পর বিকাশের কোন প্রতিনিধি আপনার ফোন রিসিভ করবে তখন তাদের সাথে আপনার বিকাশ একাউন্টের সমস্যার বিষয়টি শেয়ার করবেন। আশা করি এরপরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা আপনার অ্যাকাউন্টটি আনলক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এ বিষয়গুলো জেনে রাখলে অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যেই। তাই আপনি নিজে যেমন এই তথ্যগুলো মনে রাখবেন, আপনার আশেপাশের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদেরও আগে থেকে সতর্ক করে দিবেন এবং বিকাশের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার জানিয়ে দিবেন যেন তারাও কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে নিজে নিজেই সমাধান করে ফেলতে পারে।