কুয়েত এমন একটি দেশ যেখানে বাংলাদেশের প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক যাচ্ছে শুধুমাত্র তার জীবিকা নির্বাহের জন্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি কাজ করতে যাচ্ছে বা তাদের এ যাওয়ার প্রক্রিয়াটি কি। আপনারা হয়তো দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের শিক্ষিত জনগণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু সেই শিক্ষিত জনগণের সংখ্যার ক্ষেত্রে চাকরি সুযোগ কমে যাচ্ছে।
এছাড়াও যারা অশিক্ষিত আছেন তাদের কথা তো আলাদাই। সে হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে বর্তমানে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে দেশের অভ্যন্তরে যখন কাজ হচ্ছে না তখন সকল স্তরের মানুষ চেষ্টা করছে দেশের বাইরে গিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে। যারা শ্রমিক পর্যায়ে আছেন তারা বেশিরভাগ চেষ্টা করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেতে তার কারণ হলো এখানে গেলে অল্প কষ্টে বেশি উপার্জন করা সম্ভব হয়।
আপনারা যারা কুয়েতে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তাদের কাছে বড় সুযোগ হচ্ছে কুয়েতে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যাওয়া। আজকে আমরা আপনাদের কুয়েতে কোম্পানি ভিসার বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে ধারণা দেবো এবং জানানোর চেষ্টা করব কুয়েতের কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল তথ্য।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা প্রসেসিং ২০২৩
কোম্পানি ভিসা বলতে মূলত সেই ধরনের ভিসাকে বোঝানো হয়েছে যেই ভিসা কোম্পানির মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কোম্পানির মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে এই ওয়েব কোম্পানি ভিসা? এর উত্তরে আমরা বলব আপনি যখন কুয়েতে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে কুয়েতের এজেন্ট বা কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে কাজের জন্য।
বিষয়টি এমন নয় যে আপনি যেকোনো ধরনের ভিসা করে কুয়েতে গেলেন আর সেখানে যেকোনো ধরনের চাকরি পেয়ে গেলেন। আপনাকে অবশ্যই দেশে থাকা অবস্থাতে চাকরি কনফার্ম করতে হবে এবং সেই কোম্পানির মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। আর এই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরবর্তী সময়ে আপনি যে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সেই কোম্পানির মাধ্যমে যে ভিসা করানো হয়ে থাকে তাকে বোঝানো হয় সাধারণত কোম্পানি ভিসা।
আর এই ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া বলতে নরমাল যে ওয়ার্ড প্রসেসিং ভিসা আছে সেই একই ভিসা প্রক্রিয়া বোঝানো হয়েছে তবে এখানে কোম্পানির হস্তক্ষেপ রয়েছে। কোম্পানির সম্পন্ন হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমে বা সম্পূর্ণ দায়িত্বের মাধ্যমে আপনাকে যে কোম্পানি ভিসা করিয়ে দেওয়া হবে সেটাই মূলত কোম্পানি ভিসা। কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে আপনি কি কি কাজ করতে পারেন সেই তথ্য আমরা নিচে জানানোর চেষ্টা করব।
কুয়েত হোটেল কর্মী ভিসা
আপনি যদি কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন তাহলে সেখানে বিভিন্ন হোটেল রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। সেখানে হোটেল বয় থেকে শুরু করে আপনি রাঁধুনি পর্যন্ত হতে পারবেন। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং আরো অন্যান্য কাজ পাবেন শুধুমাত্র এই কুয়েতের কোম্পানি ভিসার হোটেল কর্মী হিসেবে গেলে।
কুয়েতে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ভিসা
যারা কন্সট্রাকশন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে তাদের জন্য রয়েছে কন্ট্রাকশনের কাজ। যদিও এই কাজগুলো বেশ কষ্টের তবে এই কষ্টের কাজের বিনিময়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বেতন তাই যারা কোম্পানি ভিসায় চুক্তি হবে তাদের ক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশন কাজ করার সুযোগ আছে।
কুয়েতে ড্রাইভিং কোম্পানি ভিসা
যে সকল কোম্পানিগুলো ড্রাইভিং বিভিন্ন কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ব্যবস্থা করেছে তাদের মূলত ড্রাইভিং বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সংযুক্ততা রয়েছে। আপনি এই ধরনের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন কুয়েতে।
কুয়েতে ভিসার দাম কত ২০২৩
গত দুই বছর ধরে বিশ্ব এমন কিছু বিরল চিত্র দেখেছে যেই দিনগুলি হয়তো এর পূর্বে কোন জাতি দেখেনি। তবে ২০২৩ সালে এসে তার থেকে খারাপ কিছু হতে চলেছে আর সেটা হলো অর্থনৈতিক মন্দা। যার ফলে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম ২ ডাবল থেকে ৩ ডবল হয়েছে। বর্তমানে কুয়েতে যেতে আনুমানিকভাবে আপনার খরচ হতে পারে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত।