১০ হাজার টাকা লোন

১০ হাজার টাকা লোন

আপনার কি এখন দশ হাজার টাকার লোন দরকার? ‌আপনি কি ১০ হাজার টাকার অভাবে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারছেন না? আপনার কি দশ হাজার টাকা জোগাড় করা খুবই জরুরী? তাহলে আর চিন্তা নেই। এই লেখাটি আপনার জন্যই। আজকে আমরা এখানে আলোচনা করব কিভাবে আপনি খুব সহজে স্বল্প সময়ের মধ্যে 10 হাজার টাকা লোন পেতে পারেন।

হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনাদেরকে দশ হাজার টাকা লোন দেয়ার জন্য এমন মহৎ একটি উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ বিকাশ। আপনি যদি বিকাশের একজন নিয়মিত গ্রাহক হন তাহলে খুব সহজে এখান থেকে 10 হাজার টাকা লোন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোথাও আবেদন করতে হবে না, দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না, ঝামেলা পোহাতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই আপনার মুঠোফোনের মাধ্যমে ১০০০০ টাকা লোন করতে পারবেন।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা দেখি কিভাবে বিকাশ থেকে 10000 টাকা লোন করা যায়।
১০ হাজার টাকা লোন করার জন্য শুরুতেই আপনার কাছে যেটা থাকতে হবে সেটি হল একটি মুঠোফোন এবং একটি সক্রিয় বিকাশ অ্যাকাউন্ট যেখানে আপনি নিয়মিত লেনদেন করেন। আর হ্যাঁ, লোন করার জন্য যে সকল শর্তাবলি জারি করা আছে সেগুলো আপনি মেনে চলতে পারবেন কিনা সেটা ভালো করে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিবেন। তাহলে এবার চলুন দেখে নেই দশ হাজার টাকা লোন করার ধাপগুলো কি কি।

ধাপ 1: আপনার মোবাইল ফোনে বিকাশ অ্যাপ খুলুন।

ধাপ 2: নীচের মেনু থেকে “More” অপশনে প্রেস করুন

ধাপ 3: “More” মেনু থেকে “লোন” নির্বাচন করুন।

ধাপ 4: ঋণ পৃষ্ঠায় আপনি বিভিন্ন ঋনের অপশন দেখতে পাবেন। “10,000 টাকা” ঋণ নির্বাচন করুন।

ধাপ 5: এরপরে আপনি ঋণের শর্তাবলী দেখতে পাবেন। এগুলি সাবধানে পড়ুন এবং এগিয়ে যেতে “আমি সম্মত” বোতামে ক্লিক করুন৷

ধাপ 6: শর্তাবলীতে সম্মত হওয়ার পরে আপনাকে আপনার NID নম্বর লিখতে বলা হবে। সঠিক NID নম্বর লিখুন এবং “Next” বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 7: পরবর্তী ধাপ হল আপনার মোবাইল নম্বর যাচাই করা। নিশ্চিত করুন যে আপনার লেখা নম্বরটি সক্রিয় আছে এবং সেখানে যেন মেসেজ যেতে পারে৷ আপনার মোবাইল নম্বর লিখুন এবং “যাচাই করুন” বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 8: আপনি আপনার মোবাইল নম্বরে একটি যাচাইকরণ কোড পাবেন। যাচাইকরণ বাক্সে কোডটি লিখুন এবং “পরবর্তী” বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 9: পরবর্তী ধাপ হল ঋণ পরিশোধের সময়কাল নির্বাচন করা। আপনি সাত, পনের বা ত্রিশ দিনের মধ্যে বেছে নিতে পারেন।

ধাপ 10: ঋণের মেয়াদ নির্বাচন করার পর আপনাকে ঋণের পরিমাণ, সুদের হার এবং পরিশোধের পরিমাণ নিশ্চিত করতে বলা হবে। এগিয়ে যাওয়ার আগে সাবধানে সেগুলো পড়ে নিয়ে নিশ্চিত করুন।

ধাপ 11: ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে “নিশ্চিত” বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 12: ঋণের আবেদন প্রক্রিয়াকরণের পরে আপনি আপনার মোবাইল নম্বরে একটি নিশ্চিতকরণ SMS পাবেন। ঋণের পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে।

অভিনন্দন, আপনি সফলভাবে বিকাশ থেকে 10,000 টাকা ঋণ নিয়েছেন। কোনো জরিমানা বা চার্জ এড়াতে সময়মতো ঋণের পরিমাণ পরিশোধ করতে ভুলবেন না। ব্যাস, এভাবেই আপনি মুহুর্তের মধ্যে 10 হাজার টাকা লোন করতে পারবেন। টাকার জন্য আটকে থাকা আপনার যে কোন জরুরী কাজ এখন খুব সহজেই করতে পারবেন। আপনাকে কোথাও গিয়ে আর টাকার জন্য আবেদন করতে হবে না, ঝামেলা ও পোহাতে হবে না। মুহূর্তের মধ্যে লোন করতে পারবেন দেশের যেকোনো জায়গা থেকে। দশ হাজার টাকা লোন করা এখন এতটাই সহজ হয়ে গেছে।

যাইহোক, বিকাশ থেকে ঋণ নেওয়া একটি সহজ এবং সুবিধাজনক প্রক্রিয়া। মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে তার গ্রাহকদের জন্য কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে ঋণদান প্রক্রিয়া সহজলভ্য করে তুলেছে। তবে মনে রাখা দরকার যে কোন লোন নেওয়ার আগে‌ সেটার শর্তাবলী মনোযোগ সহকারে পড়া উচিত এবং ঋণের পরিমাণ এমনভাবে নির্বাচন করা উচিত যাতে পরিশোধ করতে কষ্ট না হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *