সুইডেনে কাজের বেতন কত টাকা

সুইডেনে কাজের বেতন কত টাকা ২০২৩

সাধারণত বিশ্বে যে দেশগুলো শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করে তার মধ্যে সুইডেন হচ্ছে একটি। দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে সুইডেন দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বহু শ্রমিক যায় তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য। কিন্তু প্রত্যেকটি জিনিসের একটি পূর্ব পরিকল্পনা করতে হয়।

এখন আপনি এত টাকা খরচ করে বিদেশে যাচ্ছেন এবং সেখানে যাওয়ার পর কত টাকা বেতন পাবেন সে সম্পর্কে যদি ধারণা না পান তাহলে অবশ্যই আপনি পরিকল্পনা করতে পারবেন না আপনার সেই কাজ সম্পর্কে। আপনাদের সেই পরিকল্পনা সহজ করতেই আমরা মূলত আজকে জানাবো সুইডেনে কর্মরত একজন বাংলাদেশী কর্মকর্তা বাংলাদেশী টাকায় সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন পাবেন।

একজন বিদেশি কর্মকর্তার সর্বনিম্ন সুইডিস বেতন কত টাকা

আমরা যদি সুইডেনে কর্মরত একজন কর্মচারী ন্যূনতম বেতনের কথা বলি তাহলে সেখানে যে নিয়ম প্রচলিত আছে সে নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। আমরা সকলে জানি যে মহামারীর সময় সবকিছুই একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছিল কিন্তু বর্তমানে সেটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

আমরা যদি সুইডেনের সর্বনিম্ন বেতনের কথা বলি তাহলে সেখানে যে ঘন্টার বেতন উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে ঘণ্টা প্রতি ১০১ থেকে ১২৫ সুইডিশ স্ক্রনার দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ একজন মজুরি প্রাপ্ত কর্মচারীর সর্বনিম্ন মজুরি প্রতি ঘন্টায় ১০১ সুইডেন মুদ্রা অথবা 125 সুইডেন মুদ্রা হতে পারে।

সুইডেনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনারা যারা সুইডেন এর মত সুন্দর একটি দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তাদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে সুইডেন এর যে কোম্পানিগুলো আছে তারা অনলাইনের মাধ্যমে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে কিনা।

এছাড়াও বাংলাদেশে যে সুইডেনের দূতাবাস আছে তার সঙ্গে আপনি যোগাযোগ রাখতে পারেন এবং চাইলে যে এজেন্ট গুলোর মাধ্যমে সুইডেনে চাকরি প্রদান করা হয় সেই এজেন্টের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক রাখতে পারেন। অবশ্যই আপনি যে কাজের জন্য সুইডেনে যেতে চাচ্ছেন সেই কাজের উপর আপনাকে অভিজ্ঞ হতে হবে এবং ট্রেনিং সম্পন্ন করতে হবে।

সুইডেনের মত সুন্দর একটি দেশে আপনি যদি ভাল একটি কাজের খোঁজ পান তাহলে আমার মতে সেখানে থাকতে আপনার কোন সমস্যা হবে না। অনেকে তো এমন রয়েছে যারা সুইডেনে ভালো সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কারণে সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে গিয়ে সেটেল হয়ে গেছেন।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *