১ TNC সমান কত টাকা ?

১ TNC সমান কত টাকা ?

তথ্যপ্রযুক্তির এই স্বর্ণযুগে এসে আমরা প্রায় সবাই কমবেশি একটি নামের সাথে পরিচিত, আর সেই নামটি হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি। ধরুন আপনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আপনি যদি দেশে বসে কোনো কিছু কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশী মুদ্রা অর্থাৎ টাকার মাধ্যমেে কিনতে হবে। অন্য কোনো দেশের মুদ্রা যেমন ভারতীয় রুপি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ডলার দিয়ে আপনি কিন্তু বাংলাদেশের কোনো দোকান থেকে কোনো কিছু কিনতে পারবেন না।

এবার কথা বলা যাক এই মুদ্রাটি দেখতে কেমন সে সম্পর্কে। ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো এক ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা যেটার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই এবং যেটাকে ছোঁয়াও যায় না। এটি শুধুমাত্র মোবাইলে এবং কম্পিউটারে ডিজিটাল কারেন্সি হিসেবে জমা হয়ে থাকে। আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে চাইলে আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল ওয়ালেট খুলতে হবে এবং এরপরেই আপনি যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে ক্রিপ্টো লেনদেন করার সুযোগ পাবেন।

এবার একটা মজার কথা বলি। আপনার কাছে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থাকে, তাহলে পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে আপনি যে কোনো কিছু কিনতে পারবেন। সুতরাং আমরা বলতেই পারি যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বলতে গেলে গোটা বিশ্বের মুদ্রা।

যাইহোক, বর্তমানে বহু সংখ্যক ক্রিপটোকারেন্সি কয়েন প্রচলিত আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হলো TNC কয়েন। ২০১৮ সালের প্রথমদিকে নতুন এই ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রথম তৈরি করা হয়েছিল। এটি হলো এক ধরনের নতুন ডিজিটাল মুদ্রা যা কিনা Ethereum ব্লকচেইন ব্যবহার করার মাধ্যমে এক ধরনের স্বচ্ছ উন্মুক্ত এবং নিরাপদ নেটওয়ার্ক তৈরি করে। মূলত Peer to peer নেটওয়ার্কের উপরে কাজ করে বলে এখানে লেনদেনে তৃতীয় কোন ব্যক্তির হস্তক্ষেপ থাকে না।

TNC কয়েন ইতিমধ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কারেন্সিগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। এর লেনদেন শুধুমাত্র প্রেরক এবং প্রাপক ছাড়া আর কেউ জানতে পারে না। সুতরাং TNC হলো এমন একটি ওপেন সোর্স প্লাটফর্ম যেটি সর্বোচ্চ গোপনীয়তার সাথে শতভাগ নিরাপদ লেনদেনের নিশ্চয়তা দেয়। প্রুফ-অফ-স্টেক কনসেনসাস নামে একটি মেকানিজম‌ রয়েছে যার উপর ভিত্তি করে এই TNC কয়েনের অ্যালগরিদম প্রতিষ্ঠিত। TNC নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য এটি ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে।
TNC কয়েনের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়ালেট রয়েছে। এর মধ্যে MyEtherWallet, Jaxx এবং Exodus বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

চলুন এবার কথা বলা যাক TNC কয়েন বিনিময় এর প্রধান কিছু মাধ্যম নিয়ে। Binance, KuCoin, এবং HitBTC হল TNC বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম।

এবার বাংলাদেশী টাকায় TNC কয়েনের মূল্যমান কেমন, সে সম্পর্কে কথা বলা যাক। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে সকল প্রকার Cryptocurrency কয়েনের দাম ওঠানামা করে।

যাইহোক, সাধারণত ১ TNC কয়েন সমান বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১১.৬০ টাকা । অর্থাৎ ১ টাকা সমান প্রায় ০.০৮৬১৭৭ TNC। এই হিসাব অনুযায়ী ১০ TNC কয়েন সমান ১১৬ টাকা , ৫০ TNC সমান ৫৮০ টাকা, ১০০ TNC সমান ১১৬০ টাকা, ১০০০ TNC সমান ১১৬০০ টাকা এবং ১০,০০০ TNC সমান প্রায় ১১৬০০০ টাকা। তবে এটি স্থায়ী মূল্যমান নয়। বাজারের অবস্থা অনুযায়ী এটির দরমূল্য প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে।

TNC ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ইনভেস্ট করা খুবই সহজ। আপনাকে ভালো মত রিসার্চ করে একটি প্লাটফর্ম পছন্দ করতে হবে। তারপর টাকা ইনভেস্ট করার মাধ্যমে সেখান থেকে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অতঃপর বিভিন্ন প্লাটফর্মে TNC ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।

আসুন এবার TNC ক্রিপ্টোকারেন্সি সুবিধাগুলো নিয়ে কথা বলা যাক।
প্রথমত, ট্রানজেকশনে তৃতীয় কোন ব্যক্তির হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে আপনার ট্রানজেকশন হিস্ট্রি কেউ কখনো জানতে পারবে না।

দ্বিতীয়ত, অনলাইনে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদেরকে মোটা অংকের অতিরিক্ত চার্জ প্রদান করতে হয়। কিন্তু TNC ক্রিপটোকারেন্সি decentralised হওয়ার কারণে আপনি অনেক সস্তায় এখানে অনলাইনে লেনদেন করতে পারবেন।

তৃতীয়ত, ব্লক চেইন টেকনোলজির মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার কারণে TNC কয়েন লেনদেন সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এটিকে হ্যাক করা প্রায় অসম্ভব।

চতুর্থত, ডলার, ইউরো, পাউন্ড, টাকা, রুপি সবকিছু দিয়ে আপনারা TNC কয়েন কিনতে পারবেন এবং বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে সুযোগ বুঝে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন।

পঞ্চমত, TNC ‌ কয়েনের লেনদেন গতি খুব দ্রুত। ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করার মাধ্যমে মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে খুব সহজে কয়েন ট্রান্সফার করা সম্ভব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *