আউটসোর্সিং চাকরির মেয়াদ কতদিন

আউটসোর্সিং চাকরির মেয়াদ কতদিন

আউটসোর্সিং নিয়ে আপনাদের ভেতর যে সব ভুল ধারণা রয়েছে তা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব আমাদের আজকের লেখার মাধ্যমে। অনেকে ভেবে থাকেন আউটসোর্সিং মানে হল অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করা। আপনাদের ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয় কারণ আউটসোর্সিং বলতে শুধুমাত্র অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করা বোঝায় না। আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে সে বিষয়টি জানা খুবই জরুরী।

আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এ দুইটি কথা কে যদি আমরা এক করে ফেলি তবে অনেক বড় ভুল হতে পারে। আজকে আপনারা যেমন আউটসোর্সিং সম্বন্ধে জানতে পারবেন ঠিক তেমনি আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর পার্থক্য জানতে পারবেন। এছাড়াও আউটসোর্সিং চাকরির মেয়াদ কতদিন সে বিষয়টি নিয়েও আমরা আলোচনা করব।

এই পৃথিবীতে অনেক রকম চাকরি রয়েছে যেগুলোর নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। যারা আউটসোর্সিং সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু জানেন না তারা অনেক সময় জানতে চান আউটসোর্সিং চাকরির আসলে কত দিন মেয়াদ। এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আপনাকে জানার চেষ্টা করতে হবে আউটসোর্সিং বলতে আসলেই চাকরি বোঝায় কি না। আউটসোর্সিং বলতে সেরকম কিছু বোঝায় না। আউটসোর্সিং বলতে মূলত কোন পণ্য বাইরে থেকে আউটসোর্স করা বোঝায়।

অর্থাৎ ধরে নিচ্ছি আপনার অফিসে একজন ভিডিও এডিটর প্রয়োজন। আপনি ভিডিও এডিটিং এর জন্য কাউকে নিয়োগ না দিয়ে অনলাইন থেকে কিছুদিনের জন্য একজন ব্যক্তিকে হায়ার করলেন। এখানে আপনি যে কাজটি করলেন সেটাকেই আউটসোর্সিং বলা হচ্ছে। এই যে আপনি ভিডিও এডিটর হায়ার করে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও গুলো এডিট করে নিচ্ছেন অর্থাৎ আপনি আউটসোর্স করছেন। আশা করি আউটসোর্সিং বিষয়টি এখন আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে।

চলুন দেখে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং বলতে কী বোঝায়। উপরে যে আপনারা আলোচনা করলাম আপনি একজন ভিডিও এডিটর হায়ার করেছেন সেখানে আপনি হচ্ছেন আউটসোর্সার এবং আপনি যাকে হায়ার করেছেন তিনি হচ্ছেন ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সার তারাই যারা মুক্ত ভাবে কাজ করে থাকে। নিশ্চয়ই এখন আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে যে আউটসোর্সিং কোন নির্দিষ্ট চাকরি নয়। আবার এটাও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে না আউটসোর্সিং করে আসলে টাকা ইনকাম করা যায় না। টাকা আয় করতে গেলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে যা করার জন্য কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা প্রয়োজন।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে আউটসোর্সিং আসলে কোন চাকরি নয়, তাহলে এটার মেয়াদের কোন প্রশ্নই আসে না। আপনি যেকোনো সময় যেকোনো ভাবে যে কোন পণ্য আউটসোর্স করতে পারেন। আউটসোর্স করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট করার আগেই এই বিষয়টি নিয়ে ফ্রিল্যান্সারদের সাথে চুক্তি করে নিতে হবে। ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সার দের মধ্যে সেতু তৈরি করে দেয় মার্কেটপ্লেসগুলো। মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে আবার আউটসোর্সাররাও ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে পেতে পারে। মার্কেটপ্লেস থেকে এই সুবিধা নেওয়ার জন্য অ্যাকাউন্ট খোলা জরুরী।

একটি বিষয়ে সম্পন্ন ক্লিয়ার যে আউটসোর্সিং এর আসলে নির্দিষ্ট কোন মেয়াদ নেই। একজন মানুষ চাইলে তার পুরো জীবনটাই আউটসোর্সিং করতে পারে। তবে এখানে দেখার বিষয় সে কোন কাজের জন্য আউটসোর্সিং করছে। যদি কোন না পুণ্য তার বছরের পর বছর প্রয়োজন হয় তবে সে সারা বছরই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যেকোনো ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে সার্ভিস নিতে পারে।

আবার নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য যদি সার্ভিস প্রয়োজন হয় তবে সেটিও নিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি যে আপনার অফিসে যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার প্রয়োজন হয় তিন মাসের জন্য তবে আপনি শুধুমাত্র তিন মাসের জন্যই আউটসোর্সিং করবেন। অর্থাৎ তিন মাসের জন্য আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হায়ার করবেন ওয়েব ডেভেলপিং করার জন্য। আউটসোর্সিং সম্বন্ধে যে ভুল ধারণা এতদিন মনের ভিতর পুষে রেখেছিলেন তা ঝেড়ে ফেলার সময় এসেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *