ইতালির এক ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা

ইতালির এক ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৩

দেশের বাইরে যাওয়ার মত সামর্থ্য যদি কারো থাকে তবে বেশি টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারেন। ঠিক কি কারণে এইভাবে দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে পারেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব আজকের আর্টিকেলে। কোন দেশগুলোতে গেলে অনেক বেশি টাকা উপার্জন করা সম্ভব খুব অল্প সময়ের মধ্যে সে বিষয়ে জেনে নিতে হলে এই পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা তুলে ধরব ইউরোপের দেশগুলোর মুদ্রার সাথে বাংলাদেশী মুদ্রার পার্থক্য কেমন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ইউরোপের দেশগুলোতে ইউরো ব্যবহার করা হয় লেনদেনের জন্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো ইউরো এর মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে। চলুন জেনে আসা যাক ইউরোর সাথে বাংলাদেশী টাকার পার্থক্য ঠিক কতটা।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেক মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া-আসা করে। অনেকে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে যায় আবার কেউ কেউ পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে দিনের পর দিন অবস্থান করে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ শুধুমাত্র ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া-আসা করে। ইউরোপের কোন দেশগুলোতে যাওয়ার আগ্রহ বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বেশি থাকে সে বিষয়ে আপনার যদি কোন ধারনা না থাকে তবে এ বিষয়টি পরিষ্কার করা যাক।

বাংলাদেশ থেকে যেসব মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে যায় তারা সাধারণত ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সুইডেনের মতো দেশগুলোতে যায়। এই দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকার কারণে বাংলাদেশীদের প্রথম পছন্দ থাকে ইউরোপের এই দেশগুলো। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ইংল্যান্ড ও ইতালিতে। আপনার নিশ্চয় জানেন পৃথিবীতে যে কয়েকটি উন্নত রাষ্ট্র রয়েছে তার মধ্যে ইতালি অন্যতম। ইতালিতে যে কোন কাজ করলে ‌ ভালো টাকা আয় করা যায়। যেহেতু ইউরো ও বাংলাদেশি টাকার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ তাই ইতালিতে আয় করা ইউরো বাংলাদেশি টাকায় ভাঙ্গালে অনেক টাকা পাওয়া যাবে।

যারা কখনো দেশের বাইরে যান নি কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ইউরোপের যে কোন দেশে যাওয়ার তাদের জন্য এ তথ্যগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ একটি দেশে যাওয়ার আগে সেই দেশের মুদ্রা সম্বন্ধে যদি আপনার স্পষ্ট ধারণা না থাকে তবে সেখানকার খরচ সম্বন্ধে আপনি কিছুই জানতে পারবেন না। তাছাড়া দেশের বাইরে কাদের জন্য যারা যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন তারা যদি ভালোভাবে জেনে না আনেন কোন দেশে কেমন বেতন পাওয়া যায়

এবং কোন দেশের টাকার মান কেমন তাহলে হঠাৎ করে যে কোন দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনাকে পস্তাতে হতে পারে। দেশের বাইরে যাওয়ার আগে বেশ কিছুদিন ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করুন। বিদেশে যাওয়ার জন্য মোটামুটি টাকা খরচ করে যেতে হয় তাই এমন কোন দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত যেখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যাবে।

প্রবাসী বাঙালিরা প্রতিবছর আমাদের দেশে যে টাকা পাঠাচ্ছে তা বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে আমরা জানি। বৈদেশিক মুদ্রা একটি দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা যদি কোন পণ্য বিদেশের রপ্তানি করে সেই দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আমাদের দেশে নিয়ে আসতে পারে তবে এটা আমাদের দেশের উন্নয়নে অনেক কাজে লাগবে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ মানুষগুলো প্রতিবছর ইউরোপের দেশগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন কাজ করে প্রচুর টাকা দেশে পাঠাচ্ছে যা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অনেক বড় ভূমিকা রাখছে।

তাই বিদেশে গিয়ে কাজ করা সিদ্ধান্ত নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে প্রতিটি মানুষের জন্য, এতে তার পরিবার যেমন স্বাচ্ছন্দ্য থাকতে পারবে তেমনি দেশও আস্তে আস্তে উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে। আপনারা যারা ইতালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা জেনে রাখবেন ইতালির এক ইউরো বাংলাদেশি প্রায় ১০০ টাকার সমান। টাকার মান যেহেতু প্রতিনিয়ত উঠানামা করছে তাই এই ১০০ টাকা কখনো কমবেশি হতে পারে। আশা করি আপনারা যারা ইতালি যাওয়ার কথা ভাবছেন তারা আরও বেশি উৎসাহিত হবেন এই তথ্য জানার পর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *