দুবাই ভ্রমণ খরচ কত? UAE তে ভ্রমণের খরচ কত?

দুবাই ভ্রমণ খরচ কত? UAE তে ভ্রমণের খরচ কত? ২০২৩

যারা দুবাইয়ের মতন সুন্দর একটি দেশে ভ্রমণ করতে চান এবং বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদের জন্য সবার প্রথম বাধা হচ্ছে এখানে বেড়াতে যাওয়ার খরচ। তার কারণ হলো এ দেশটি এত সুন্দর একটি দেশ এবং এই দেশের প্রত্যেকটি কাঠামো এবং প্রত্যেকটি সৌন্দর্যের পেছনে এত বেশি খরচ করা হয়েছে যে এইগুলো উপভোগ করা অনেকটা ব্যয়বহুল।

তারপরেও বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ দুবায়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায় তার কারণ হলো তাদের সামর্থ্য আছে এবং সেই সামর্থ্য অনুযায়ী তারা সেখানে যেতে চাই। যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে খরচ নিয়ে ভাবতে হবে এবং সেই খরচ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে আমরা আপনাদের এই অংশে বিস্তারিতভাবে খরচ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেব এবং কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে খরচ কি পরিমাণ হতে পারে সেই বিষয়ে ধারণা দেবো।

দুবাইয়ে বেড়ানোর খরচের খাত

আপনি দুবায়ে শুধু বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যাবেন কিন্তু সেখানে অনেক ধরনের খরচ আছে এবং সেই খরচ গুলো কোন কোন খাতে করতে হতে পারে সে বিষয়ে এখন আমরা আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন এ বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

দেশে থাকা অবস্থাতে অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট করিয়ে নিতে হবে পাসপোর্ট ছাড়া আপনি কোন ভাবে বিশ্বে কোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না এবং আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট করতে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে খরচ করতে হবে। তাহলে এটা ধরে নিন একটি খরচ।

আপনার যখন পাসপোর্ট করা হয়ে যাবে তারপরে প্রয়োজন পড়বে দুবাইয়ে ট্রাভেলিং ভিসা করার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং আপনাকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে ভিসার ধরন অনুযায়ী সেখানে টাকা প্রদান করতে হবে। আপনি যদি ৩০ দিনের ভিসা করতে চান তাহলে সেখানে আপনাকে প্রায় 500 ইউ এস ডলার খরচ করতে হবে এবং আপনি যদি ৯০ দিনের ভিসা করতে চান তাহলে আপনাকে সেখানে প্রায় ৬৮ ইউএস ডলার খরচ করতে হবে।

এর পরে আসলো আপনার প্লেনের ভাড়ার খরচ। আপনি এখন কোন এয়ারলাইন্সে যেতে চাচ্ছেন এবং সেই এয়ারলাইন্সের কোন ক্লাসে আপনি যেতে চাচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে আপনার প্লেনের ভাড়ার খরচ নির্ধারণ করা হবে। সে হিসেবে যদি অ্যাভারেজে বলা যায় তাহলে প্লেনের ভাড়ার খরচ ৫৫ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ 15 হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে।

এই পর্যায়ে আপনি যে এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করবেন এবং যে ট্রাভেল এজেন্সি আপনাকে সেখানে বেড়াতে সাহায্য করবে তাদের সঙ্গে আপনার কত টাকার চুক্তি হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে আরেকটি খরচ আসবে যেটা সবথেকে বড় খরচ। এদের কাজ হবে আপনাকে সেখানে রিসিভ করিয়ে নিয়ে তারপর আপনাকে তাদের নিজস্ব হোটেলে ওঠানো এবং আপনাকে যে প্যাকেজ অফার করেছিল সেই প্যাকেজ অনুযায়ী সেই দিনগুলো অনুযায়ী প্রত্যেকটি জায়গাতে নিয়ে যাওয়া খাবারের ব্যবস্থা করা এবং ঘোরানো ফেরানো সকল কাজ করা। তার উপর নির্ভর করে আপনার এখানে খরচটি ধরা হবে।

এরপরে আসি কিছু পার্সোনাল খরচ। দুবাইয়ের মতন বড় জায়গাতে গেছেন এবং সেখানে আপনি গিয়ে কেনাকাটা করবেন না তা কি করে হয় আর কেনাকাটা করতে গেলে আপনাকে প্রচুর। এছাড়াও অনেকে দুবাইয়ে গেলে সেখানকার স্পা এবং পার্লার গুলো দেখে লোভ সামলাতে পারে না এবং সেখানে একবার হলেও গিয়ে তাদের সেবা গ্রহণ করে যার মাধ্যমে সেখানে প্রচুর টাকা খরচ হয়। এছাড়াও এজেন্সির বাইরে আপনাকে পছন্দনীয় খাবার খেতে হতে পারে বা পছন্দের জায়গায় বেড়ানো যা লাগতে পারে সেই খরচ গুলো সম্পন্ন আলাদা আপনার এই খরচের অন্তর্গত।

দুবাই বেড়ানোর মোট খরচ

আপনারা কি আমাদের উপরের অংশ ভালোভাবে পড়েছেন তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন দুবায়ে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আপনি যদি যান তাহলে কি পরিমাণ খরচ হবে সেটা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেনা।

আপনি যদি কিপটামু করেও সেখানে চলেন তাও কম করে হলেও আপনাকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যেতে হবে দুবাই বেড়ানোর উদ্দেশ্যে এবং যারা একেবারে হাতছাড়া দিয়ে ঘুরে বেড়ায় তাদের তো কত টাকা খরচ হয় তার হিসাব সে নিজেই জানে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *