ইতালি ভিসা খরচ, আবেদন প্রসেস 2022

ইতালি ভিসা খরচ, আবেদন প্রসেস 2023

ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন এবং সেখানে অবস্থান করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। অবশ্য এখানে বিভিন্ন ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চার্জ প্রযোজ্য হবে যেটা আপনারা কেবল জানতে পারবেন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে। এমন অনেকে রয়েছেন যারা বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন কিন্তু বিদেশে যেতে কত টাকা ফেটা না জেনেই পরিকল্পনা করে।

যার ফলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে এবং এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে মূলত তারা জানতে চায় সঠিক তথ্যগুলো। আমরা বরাবরের মতো বিভিন্ন দেশের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার ধারাবাহিকতায় আজকে নিয়ে এলাম ইতালির ভিসা সংক্রান্ত আজকের এই আর্টিকেল। ইতালিতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে আনুমানিক কত টাকা আপনার খরচ হবে সেই সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকেই জানতে পারবেন।

ইতালি বিভিন্ন ধরনের ভিসা

আপনি কি ইতালিতে যেতে চাচ্ছেন? বুঝতে পারছেন না কোন ভিসার মাধ্যমে ইতালিতে যাবেন? আমরা আপনাদের সাহায্য করতে পারি কিছু সঠিক তথ্য জানানোর মাধ্যমে যেখানে আপনি নিজের সিদ্ধান্তগ্রহণে এই তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে ইতালি সরকার ২০২৩ সালে তাদের নতুন যে গেজেট প্রকাশ করেছে তাতে 70 হাজার এর ওপর বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগ করবে বলে প্রকাশ করেছে। এখানে কিছু কিছু গণমাধ্যমে এটাও প্রকাশিত হয়েছে যে ২০২৩ সালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওয়ার্ক পারমিটের ৪২হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি।

এর মধ্যে কিছু খাতে নেবে ১৪ হাজার কৃষি শ্রমিক এবং এর মধ্যে কর্মীদের জন্য নিবে ২৭ হাজার পাড়মেট। এছাড়াও আরো রয়েছে ২০ হাজার সড়ক পরিবহন ও নির্মাণ এবং পর্যটন হোটেল খাতের শ্রমিক নিযুক্ত ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে ব্যাপক পরিসরে শ্রমিক নিয়োগ করছে ইটালি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে।

সব থেকে মুখ্য বিষয় যেটি হলো বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ সেখানে জীবিকার উদ্দেশ্যে চায় তাই আমরা আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে সেখানে কিভাবে যাওয়া।

ইতালি স্পন্সর ভিসার আবেদন

স্পন্সর ভিসা বলতে সেই ধরনের ভিসাকে বোঝানো হয়েছে যে ভিসার মাধ্যমে ইতালি কোন কোম্পানি আপনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করবে এবং তাদের সম্পূর্ণ খরচে তারা সেখানে আপনাকে নিয়ে যাবে কাজের জন্য। যারা এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তারা স্পন্সর ভিসার ক্ষেত্রে বেশ সুযোগসুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

এই স্পন্সর ভিসা গুলোর ক্ষেত্রে নন্সিগন্যাল ভিসায় বেশি হয়ে থাকে এবং যা বাংলাদেশের কোন মালিকানা থাকে না। আশা করছি আপনারা হয়তো এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ইতালিতে যাওয়ার উপায়

তালের মতন এত সুন্দর একটি দেশে আপনি যদি যেতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে অনলাইন এর মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি চাইলে সরাসরি ইতালিতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি যে এজেন্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে তাদের অফিসে উপস্থিত হয়েও ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।

স্পন্সর ভিসার ক্ষেত্রে অনলাইনে দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আপনি আপনার যোগ্যতা প্রমাণ রেখে যদি আবেদন করেন এবং তারা যদি আপনার আবেদনের সাড়া দেয় তাহলে আপনার ভিসা প্রক্রিয়া একেবারে সহজ হয়ে যাবে। তারা তাদের এজেন্টের মাধ্যমে আপনার ভিসা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবে যেটা আপনার জন্য খুব সুবিধার একটি ব্যাপার হবে।

ইতালিতে ভিসার খরচ কত

ইতালিতে যাওয়ার জন্য যারা ভিসা করতে চাচ্ছেন তাদের প্রথম জানতে চাওয়ার বিষয় হলো কত টাকা খরচ। বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে ইতালিতে যাওয়ার জন্য এবং এই ভিসার ধরন অনুযায়ী ইতালিতে যাওয়ার জন্য আপনার খরচ হবে 6 লক্ষ টাকা থেকে ১১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

যারা দীর্ঘমেয়াদী ভিসাতে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে যেতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে খরচটা বেশি হবে এবং যারা টুরিস্ট হিসাবে অথবা স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য খরচটা অনেক কম হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *