দুবাই ভিসা ২০২২ দুবাই ফ্রি ভিসা | দুবাই কোম্পানি ভিসা | দুবাই ভিসার দাম কত

দুবাই ভিসা ২০২৩ দুবাই ফ্রি ভিসা | দুবাই কোম্পানি ভিসা | দুবাই ভিসার দাম কত

দুবাই নামক দেশটির কথা আমরা সকলেই শুনেছি এবং এটি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের একটি অন্যতম দেশ যে দেশটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উন্নতি সাধন করেছে তার ভূগর্ভে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদের মাধ্যমে। বর্তমানে দুবাইয়ের ফলে বিশ্বে প্রত্যেকটি দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে তারা কিভাবে তাদের দেশকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এত উন্নত করতে পেরেছে।

তারা সারাদেশকে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে এবং এই কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলতে আছে এবং যারা এখন পর্যন্ত দুবাই ভিজিট করেছেন তারাই কেবলমাত্র সেই দুবাইয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন এবং সেই সৌন্দর্যের কথা বলতে পারবেন। কিন্তু যারা দুবাই এখন পর্যন্ত যান নি কিন্তু যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাগজ হচ্ছে দুবাইয়ের ভিসা।

আজকে আমরা ২০২৩ সালে দুবাইয়ের ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করব এবং বিভিন্ন ধরনের ভিসা করতে কি পরিমান প্রসেসিং আছে এবং ভিসা করতে কি পরিমান কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে এবং কত টাকা খরচ হতে পারে সেই সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

দুবাইয়ের বিভিন্ন ধরনের ভিসা

আপনারা সচরাচর জানেন যে একটি দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এক ধরনের ভিসা পাওয়া যায় এমনটি নয় সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনের ধরণের উপর ভিত্তি করে এই ভিসা গুলো ভাগ করা হয় এবং সেই দেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়গুলো প্রদান করে। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে যারা যেতে চাচ্ছেন তারা কি কি ধরনের ভিসাতে যেতে পারেন এবং তাদের প্রয়োজন কি কি হতে পারে তাহলে চলুন এই ভিসার ধরন গুলো জেনে আসি।

দুবাই ভিজিট ভিসা
দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা
দুবাই মেডিকেল ভিসা
দুবাই ফ্যামিলি ভিসা
দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

দুবাই ভিসা প্রসেসিং পদ্ধতি

দুবাই টুরিস্ট ভিসা কিভাবে প্রসেস করবেন এর একটি উদাহরণ দেয়ার মাধ্যমে আমরা আপনাদের দুবাই ভিসা প্রসেসিং এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানাচ্ছি এবং আশা করছি আপনারা এখান থেকে ধারণা পাবেন কিভাবে ভিসার জন্য প্রসেস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। সাধারণত দুবাই টুরিস্ট ভিসার জন্য দুই ধরনের আবেদন করা যায়।

প্রথমত এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে আপনি ভিজিট ভিসার জন্য বা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং দ্বিতীয়ত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আপনি সেটার জন্য আবেদন করতে পারেন।

আবেদন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বেশ কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই চারটি এয়ারলাইন্স আছে যে কোন একটি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারেন।

এখানে ঈতিহাদ এয়ারওয়েজ এবং এমিরাতস এয়ারলাইন্স এবং এর পাশাপাশি ফ্লাই দুবাই এবং এয়ার এরাবিয়া এই চারটি এয়ারলাইন্স আছে আপনি যেকোনো একটির মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে পারেন।

এই এমিরেটসগুলোর মাধ্যমে আপনারা তিন থেকে চার কর্ম দিবসের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন এবং এর জন্য আপনার ভিসার যে ফি প্রদান করবেন সেটা ফেরত যোগ্য নয়। ভিসার ফি হিসাবে আপনাকে কি পরিমান টাকা দিতে হবে সেটা আমরা আমাদের সম্পূর্ণ নতুন একটি আর্টিকেলে দিয়ে রেখেছি আপনারা চাইলে সেখান থেকে সেটা দেখে নিতে পারেন। তবে আপনি সেখানে গিয়ে যদি ভিসার মেয়াদ বাড়াতে চান সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিনে আপনাকে দুইবার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে।

ইসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ৯৬০ দিরহাম সেখানে দিতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ট্যুরিস্ট এর উপর হিসেব করে এই ভিসা প্রদান করা হয়।

দুবাই ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনারা যদি এমিরেটস এর মাধ্যমে ভিসার কাগজপত্র করিয়ে নিতে চান তাহলে সবার প্রথমে প্রয়োজন পড়বে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম যেটা পূরণ করে জমা দিতে হবে।

এক কপি 6/6 cm যার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা ছবি লাগবে যেখানে চেহারা খুব পরিষ্কার ভাবে থাকতে হবে।

ছয় মাস মেয়াদ সম্পূর্ণ পাসপোর্ট এবং এক কপি পাসপোর্ট স্ক্যান ছবি অর্থাৎ পাসপোর্ট এর ছবি কনফার্ম টিকিট।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *