দুবাই কাজের হিসাব বলতে বোঝানো হয়েছে যারা অভাবের তাড়নায় নিজের দেশে কিছু করতে না পেরে দুবাই এ গিয়ে অনেক কিছু করবে বলে ভাবছে এবং আয় এই আশা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার চেষ্টায় আছে তাদেরকে যে ভিসা প্রদান করা হয় সেই ভিসাকেই মূলত কাজের ভিসা বলা হয়। দুবাইয়ে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজের জন্য যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে।
দুবাই কাজের ভিসা সম্পর্কে খুঁটিনাটি জিনিস জানতে এবং এ ভিসা করতে আপনার কি পরিমাণ খরচ হতে পারে সে বিষয়টি আপনি যদি আগে থেকে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেল পড়তে হবে। একটু কষ্ট করুন এবং জানুন দুবাইয়ের কাজের ভিসা করতে আপনার কি পরিমাণ খরচ হবে।
দুবাইয়ের কাজের ভিসা প্রসেসিং
আমরা চেষ্টা করি বরাবর শতভাগ সঠিক তথ্য আপনাদের দিতে এবং একই তথ্য যেন বারবার আপনাদের কাছে না আসে সেই বিষয়টি আমরা খুব ভালোভাবে খেয়াল করি এবং আমরা এই অংশে আপনাদের দুবাইয়ের কাজের প্রসেসিং সম্পর্কে জানাবো। যারা দুবাইয়ে কাজের ভিসা করাতে চান সে ভিসা কিভাবে প্রসেস করবেন সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের ধারণা দেব।
আমরা আপনাদের আগেই বলেছি বেশ কয়েকটি আর্টিকেলে দুবাই যাওয়ার জন্য যে ভিসা আছে তা দুটি প্রসেসিং পদ্ধতি আছে এবং আমরা সেখানে প্রসেসিং পদ্ধতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছি তাই আমরা এখানে নতুনভাবে আর কাজের প্রসেসিং বর্ণনা করতে চাচ্ছি না আমরা আলোচনা যে মূল বিষয় কাজের ভিসার দাম সেই দিকে যেতে চাচ্ছি।
দুবাইয়ে কাজের ভিসার ধরন
দুবাইয়ে কাজের ভিসার ধরন বলতে বিভিন্ন ধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে কারণ শুধুমাত্র এক ধরনের কাজের জন্য আপনাকে কেউ কাজ নিবে না। দুবাই কাজ করতে গেলে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য তাই আমরা এখানে আপনাদের প্রত্যেকটি কাজের ধরন জানাবো এবং প্রত্যেকটি কাজের ধরনের ক্ষেত্রে ভিসার কি কি খরচ হতে পারে সেটা আমরা আপনাদের জানাবো।
আপনি যদি রান্না করতে ভালো পারেন তাহলে সেখানে কুক হিসেবে আপনি চাকরি করতে পারেন এবং দুবায়ে কুক হিসেবে প্রচুর মানুষকে চাকুরী নিয়োগ করা হয়। আপনি যদি কৃষি কাজ করতে পারেন তাহলে সেখানে বাড়িতে কৃষি কাজ করানোর জন্য বাড়ির কৃষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয় চাকরির। আপনি যদি বাগানের কাজ করতে পছন্দ করেন তাহলে মালি হিসাবে আপনাকে সেখানে নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক অর্থাৎ আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হন এবং সেই বিষয়ে যদি কেউ জানতে চায় তাহলে আপনাকে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।
তো ভাই আপনি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং গৃহপালিত ঘোড়া মোদী হিসেবেও আপনাকে সেখানে কাজ করতে হতে পারে। আপনারা যারা ব্যক্তিগত নাবিক হিসেবে কাজ করতে চান তারা দুবাইয়ে কাজ করতে পারেন এবং নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়োগ করা হয়। এর পাশাপাশি ভ্যালেন্ট পার্কিং কর্মী হিসেবে এবং হাউস কিপার হিসেবে এবং ফ্যালকন প্রশিক্ষক হিসেবে সেখানে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিশেষ নার্স কর্মী হিসেবে আপনি দুবায়ের কর্মরত হতে পারেন।
দুবাই কাজের ভিসার দাম কত
কাজের ভিসা সম্পর্কে বা কাজের বিচার দাম সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদের জানতে হবে যে আপনারা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই ভিসা করাবেন সেখানে তিন থেকে চারদিনে আপনার সকল ভিসা সম্পন্ন হবে। কাজের ক্ষেত্রে আপনি তিন ধরনের ভিসা করতে পারেন এবং সেই ভিসা গুলোর মেয়র পরিবর্তনের সময় আপনাকে প্রতিবার 950 দিরহাম করে প্রদান করতে হবে।
ভিসা প্রসেসিং হিসাবে ২৬ ইউএস ডলার নির্ধারিত এবং আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ভিসা করতে চান সেই হিসাবে আপনার ভিসার সর্বনিম্ন 450 ইউএস ডলার থেকে শুরু করে 1200 ইউএস ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।