বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩

সাধারণত এটি সামান্য একটি প্রশ্ন মনে হল আমরা আজকে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে এই প্রশ্নের আঙ্গিকে একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল লিখে চলেছি। কেননা আমরা কমেন্ট বক্সে এমন বহু প্রশ্ন করার পাঠক দেখতে পাই যারা উত্তরের খোঁজে সন্দেহান হয়ে আছেন। সবাইকে আলাদা আলাদা ভাবে উত্তর দিতে গেলে অনেক সময় লাগবে এবং যদি আমরা উত্তর না দেই তাহলে অনেকেই রাগ করবেন।

তাই আমরা চেষ্টা করেছি এমন একটি আর্টিকেল তৈরি করতে যে আর্টিকেলের মাধ্যমে সকলের নজরে আসবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে হলে কত টাকা খরচ হবে এই বিষয়ে। এছাড়া আপনারা সকল বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন কারণ হলো খরচের মধ্যে অন্তর্নিহিত রয়েছে অনেক কিছু। শুধু যে ভিসা বাবদ খরচ তা নয় আরো অনেক খরচ রয়েছে যে বিষয়গুলো এখন আমরা আপনাদের তুলে ধরব।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার খরচ

বাংলাদেশ থেকে যারা কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন তাদের কত টাকা মোট খরচ হবে সেটা জানা অবশ্যই জরুরী। তবে সে খরচের বিভিন্ন খাত আছে বা ধরন রয়েছে যেগুলো আমরা এখানে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন সম্পূর্ণ বিষয়গুলো জানি।

পাসপোর্ট বহুত খরচ করতে হবে সবার প্রথমে। আপনারা যারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অবশ্যই একটি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট করতে হবে এবং সেটা করতে অনেক বেশি সময় লাগে এবং অনেক বেশি টাকা খরচ হয়। সেই টাকাটা প্রথমত আপনাকে খরচ করতে হবে।

এরপরে ভিসা প্রসেসিং ফ্রি প্রদান করতে হবে। ভিসা প্রসেসিং ফ্রি বাবদ বিভিন্ন ভিসার জন্য বিভিন্ন টাকা খরচ করতে হয়। এই খরচটা মূলত আপনাকে ধরতে হবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার খরচের মধ্যে।

এরপরে আপনি যে কোম্পানি ভিসাতে যেতে চাচ্ছেন অর্থাৎ যে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বা এজেন্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তাদের ওপর নির্ভর করে আপনার আরো খরচ আছে। তাদের অধীনে আপনাকে ছয় মাসের ট্রেনিং করতে হবে এবং সেখানে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে।

এরপরে সেই কোম্পানির মাধ্যমে আপনি চাকরি কনফার্ম করতে অবশ্যই আপনাকে কোম্পানিকে কিছু টাকা দিতে হবে যে টাকাটার মূল্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হতে পারে।

আপনি কত বছরের কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে কুয়েতে যেতে চাইছেন সেটার উপর নির্ভর করে আপনার ভিসার মূল্য নির্ধারণ হবে। সাধারণত প্রতি বছর বৃদ্ধির জন্য আপনাকে ১০০০ থেকে ১২০০ মার্কিন ডলার যুক্ত করতে হবে।

এরপরে আপনাকে প্লেন ভাড়া সংযুক্ত করতে হবে। প্লেন ভাড়া বর্তমানে ৭৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ 55 হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে।

এছাড়াও আনুষাঙ্গিক খুঁটিনাটি অনেক কিছুই আছে যে বিষয়গুলো আপনাকে দেখতে হবে এবং খরচ করতে হবে। সব মিলিয়েই সর্বশেষে বলা যাবে আপনাকে কত টাকা খরচ করতে হবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে হলে।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ভিসা প্রসেসিং খরচ

আমরা ওপরেই বলেছি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং বিভিন্ন খরচ আছে চলুন আমরা ভিসা প্রসেসের বিভিন্ন ধরনের অনুযায়ী খরচ গুলো জানি।

যারা স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছে তাদের ভিসা প্রসেসিং ফি সর্বোচ্চ ১৫৫ ইউএস ডলার হবে। কিন্তু এটা যে কোন সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।

যারা টুরিস্ট ভিসাতে যেতে চাচ্ছে তাদের জন্য ভিসা প্রসেসিং ফি ৯০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে যেতে চাচ্ছে তাদের জন্য ভিসা প্রসেসিং ফি ২৭০ ইউএস ডলার হতে পারে।

এগুলো হচ্ছে ভিসা প্রসেসিং ফি অর্থাৎ ভিসা প্রসেস করতে শুধুমাত্র ফ্রি প্রদান করা এর পাশাপাশি আরো অনেক খরচ রয়েছে যেগুলো আপনাদের ব্যয় করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েত এর সম্পূর্ণ খরচ ২০২৩

আমরা ওপরে বোঝানোর চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য কয়টি খাতে কি পরিমান খরচ করতে হবে আপনাকে। সর্বশেষে বলতে চায় বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য আপনাকে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে বর্তমানে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *