বাইরের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে অথবা বিভিন্ন কোম্পানির চাকরিতে গিয়ে সেখানে প্রত্যেক মাসে টার্গেট পূরণের ঝামেলা পোহাতে না পেরে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন। আর বাড়িতে ফিরে এসে আপনারা আয় করার এমন একটা পন্থা খুঁজে পেতে চান যেখান থেকে আপনার প্রত্যেক মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম হবে এবং এই টাকা দিয়ে আপনি আপনার পরিবার নিয়ে অথবা পিতা-মাতা নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবেন।
আর সেই ক্ষেত্রে আপনারা এই পদ্ধতি জানতে চান বলে আমাদের ওয়েবসাইটে আজকে ঘরে বসে প্রত্যেক মাসে 15 থেকে 20 হাজার টাকা কিভাবে আয় করবেন তা জানিয়ে দেব। তবে দক্ষতা ছাড়া অথবা নির্দিষ্ট একটা পজিশন তৈরি করা ছাড়া আপনি হঠাৎ করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কেন, ৫০০০ টাকাও ইনকাম করতে পারবেন কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু আপনি কাজ করার ক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে পারেন এবং কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার যদি পূর্বের কোন দক্ষতা থাকে তাহলে দেখা যাবে যে ঘরে বসেই আপনাকে এই কাজ করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে আপনার কখনোই চাকরি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবেনা অথবা নতুন করে চাকরি করতে হবে না।
তাই সকল যুবকদের জন্য এবং যারা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে বাইরে গিয়ে চাকরি করতে পারেন না তাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কাজের কথা উল্লেখ করব যেখান থেকে আপনারা ১৫-২০ হাজার টাকা অথবা এর অধিক পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই দৈনন্দিন জীবন সহজ করে তোলার জন্য টাকার কোন বিকল্প নেই এবং আপনি যখন টাকা ইনকাম করতে পারবেন তখন আপনার চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারলে আপনার পরিবার যেমন খুশি থাকবে তেমনি ভাবে আপনিও মানসিক দিক থেকে শান্তি পাবেন।তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমরা এই পোষ্টের আলোচনা শুরু করে এবং কিভাবে ঘরে বসে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায় তা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি।
অনলাইনের কাজ করার মাধ্যমে
বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি যুবক অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করতে চাচ্ছে এবং বাইরে গিয়ে যেসকল কাজ রয়েছে সে সকল কাজের প্রতি তারা খাপ না খাওয়াতে পারার জন্য ফেরত চলে আসছে। তাই আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার জন্য অনেক দরজা খোলা রয়েছে এবং আপনি নির্দিষ্ট একটা কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার এই সুযোগ লুফে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন অনলাইনে কিভাবে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় তা এই পোষ্টের মাধ্যমে আরো একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি।
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে
কোথাও থেকে কোন কিছু করতে পারছেন না অথবা আপনি যদি ঘরে বসে এর আগে থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কোর্স করে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করা আহামরি কিছু নয়। তাই আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চাইবেন তখন এ বিষয়ে আপনাকে আগে জানাশোনা থাকতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
ব্লগিং করার মাধ্যমে
বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে অনেকেই ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করছে এবং এক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে প্রায় ঘরে ঘরে অথবা এলাকাভিত্তিক ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনার তখনই ইনকাম হবে যখন সেখানে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থাকবে এবং গ্রাহকেরা ভিজিট করে এডভার্টাইজমেন্ট এর উপরে ক্লিক করবেন।
তবে যাই হোক আপনি যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যেটা বর্তমান সময়ে সকল মানুষ সার্চ করার ভিত্তিতে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নতুন নতুন পোস্ট দিন এবং পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে যখন আপনাদের ওয়েবসাইটে গ্রাহক আসবে তখন এড এ ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার ইনকামের দোয়ার উন্মোচিত হবে এবং আপনার জন্য মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করা তখন কোন ব্যাপার হবে না।
ইউটিউবিং করার মাধ্যমে
প্রাথমিকভাবে আপনি যখন ইউটিউবিং করতে যাবেন তখন আপনাকে বলব যে আপনি কোন বিষয়ে জানেন সেটি আপনাকে দেখতে হবে। আপনি যদি উপস্থিত বক্তৃতা দিতে পারেন অথবা শিক্ষামূলক বিভিন্ন বিষয়গুলো জানেন তাহলে youtube চ্যানেল খুলতে পারেন। তবে বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে যে বর্তমান সময়ের উপরে নির্ভর করে এখন মানুষজন শিক্ষামূলক বিষয়ের চাইতে বিনোদনমূলক জিনিস বেশি দেখে থাকছে। তাই বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিডিও যদি আপনারা ক্রিয়েট করতে পারেন অথবা ছোট ছোট শর্ট ফিল্ম তৈরি করতে পারলে সেগুলো মানুষ খুব সাদরে গ্রহণ করবে এবং আপনার ভিডিও দেখার মাধ্যমে হাজার হাজার ভিউ যখন হবে তখন মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা সহজ হবে।
ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে
আপনার কাছে যদি একটি ক্যামেরা থাকে এবং ফটোগ্রাফি করার ওয়েবসাইটগুলো যদি আপনার চেনা থাকে তাহলে আপনি হয়তো ফটোগ্রাফির বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন এবং ফটোগ্রাফির এডিটিং সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ করার মাধ্যমে সেখানে আপনারা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। অনলাইন ছাড়াও অনেকে এলাকাভিত্তিক ফটোগ্রাফির দোকান দিয়ে সেখান থেকে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের ছবি তুলে দিয়ে প্রত্যেক মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করছে এবং এই ক্ষেত্রে আপনাকে ফটোগ্রাফির উপরে সামান্য কিছু জানাশোনা থাকতে হবে।
সেই ফটোগ্রাফি করো বর্তমান সময়ে পনের-বিশ হাজার টাকা ইনকাম করা যায় এবং বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় যে পর্যটন এলাকা গুলোতে গেলে বিভিন্ন ফটোগ্রাফার ফটো তোলার জন্য রিকোয়েস্ট করে থাকে। তাই পর্যটন এলাকা গুলোতে গিয়ে তাদের রুলস এবং রেগুলেশনের মাধ্যমে ফটো তুলতে পারেন এবং সেখান থেকে প্রত্যেক মাসে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করতে পারেন।
ট্রান্সলেশন পরিষেবা করার মাধ্যমে
দেখা যাচ্ছে যে আমাদের বাংলা ভাষার একটি আর্টিকেল অর্থাৎ গবেষণামূলক গ্রন্থ বিদেশের বিভিন্ন মানুষের প্রয়োজন রয়েছে এবং তারা বাংলা বিষয়ে না জানার কারণে ইংরেজি ট্রান্সলেশন পেতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ট্রান্সলেশন পরিষেবা নামক বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনারা গিয়ে বিভিন্ন বিষয় ট্রান্সলেশন করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা সংস্থা রয়েছে যারা ট্রানসলেশন করার জন্য অভিজ্ঞ সম্পন্ন ব্যক্তিদের খুঁজে থাকেন।
তাই আপনি যদি ট্রান্সলেশন করে দিতে পারেন তাহলে ট্রান্সলেশন করার ভিত্তিতে আপনাকে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থাৎ বই প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে। আর এভাবে আপনারা ইনকাম করার একটা রাস্তা পেয়ে যেতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে এই কাজ এমন একটি কাজ যেটার মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে এবং অফলাইনে উভয় ভাবে কাজ করতে পারেন।
কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে
বর্তমান সময়ে হাজার হাজার ওয়েবসাইট নতুন ভাবে তৈরি হওয়ার জন্য সেখানে কন্টেন্ট লাগছে এবং অনেকের কনটেন্ট লেখার প্রতি দক্ষতা না থাকার কারণে ঠিক কিভাবে কন্টেন লিখতে হয় তা জানেন না। আপনি যদি কন্টাইন লিখতে জানেন এবং কন্টেন্ট লেখার প্রতি অথবা উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কন্টেন দেখে দিতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার কন্টেন্টের মানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট আপনাদেরকে পেমেন্ট দিচ্ছে। বাংলাদেশে এমন অনেক ওয়েবসাইট গড়ে উঠেছে যেখানে কনটেন্ট প্রদান করার মাধ্যমে টাকা দেয় এবং বিদেশি অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ইংরেজি কনটেন্ট দেওয়ার মাধ্যমে আপনি প্রত্যেক মাসে ১৫-২০ হাজার অথবা এর চেয়ে অধিক পরিমাণ টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন।
ওয়েব ডিজাইনিং করার মাধ্যমে
ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ যদি জানা থাকে অথবা এ বিষয়ে যদি কোর্স করে থাকেন তাহলে ওয়েবসাইট যে পরিমাণ ক্রিয়েট হচ্ছে সেভাবে আপনারা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর কাজ করে দিতে পারেন অথবা এমন একটি সময় আসবে যখন প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অথবা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থাকবে। ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর কাজগুলো আপনাদের জানা থাকলে ভবিষ্যতে এগুলো অনেক কাজে লাগবে এবং প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট এর ডিজাইন করে দেওয়ার মাধ্যমে আপনারা 200 থেকে 300 ডলার পাবেন এবং এর মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য সহজ হয়ে উঠেছে।