আমরা অনেক সময় সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নের মধ্যে এক দেশে থেকে অন্য দেশের দূরত্ব সম্পর্কিত প্রশ্ন খুঁজে পাই। আর এই সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নগুলো এমন এক ধরনের প্রশ্ন যে প্রশ্নগুলো জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার কাজে আসতে পারে। যারা সাধারন জ্ঞান চর্চা করেন তাদের জন্য এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুব প্রয়োজনীয় হতে পারে।
আপনারা আমাদের এখান থেকে জানতে পারবেন বাংলাদেশের দুবাইয়ের দূরত্ব। অনেক ক্ষেত্রে যারা প্রবাসী রয়েছেন তাদের প্রধান প্রশ্ন থাকে তার পরিবার ছেড়েছে সে কত দূরে যাচ্ছে বা কত দূরে থাকার পরিকল্পনা করছে। সে বিষয়টি জানার ক্ষেত্রেও অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ের দূরত্ব কত হতে পারে। আমরা আপনাদের এরকম বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
অনেকের মনে সব সময় বিদেশে যাওয়ার বা বিদেশে কাজ করার পরিকল্পনা থাকে। তারা এ বিষয়টি কাউকে মুখ ফুটে বলতে না পারলেও মনে মনে পরিকল্পনা করে যদি বিদেশ যাওয়া যেত সেখানে প্রচুর অর্থ উপার্জন হয়। কিন্তু সেটার পেছনে আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে এবং আপনাকে যাওয়ার খরচ হিসেবে প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
তাই অনেকে একেবারে ক্লিয়ার ভাবে জানতে চায় কত টাকা খরচ হতে পারে। আমরা আপনাদের একটি স্বাভাবিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি কারণ এখানে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে আপনার বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে যাওয়ার খরচ। প্রথমত আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে তারপরে আপনাকে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে সেটা ফ্রি বাবদ জমা দিতে হবে।
এছাড়াও আপনি কোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বা কোন এজেন্টের মাধ্যমে ওমানে যেতে চাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার ভিসার খরচ নির্ভর করবে। এই সবকিছুর উপর নির্ভর করে আমরা আপনাকে আইডিয়া দিচ্ছি বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ওমানে যেতে আপনার খরচ হবে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত।
দুবাইয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কিভাবে যাবেন
দুবাইয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে কিভাবে যাবেন বা কিভাবে যেতে হয় এই প্রশ্ন অনেকেই করে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলতে সহজ ভাষায় বলতে গেলে দুবাই কাজের ভিসা। আপনারা হয়তো অনেকে জানেন দুবাই একটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ এবং তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে তৈরি করেছে এবং তার কারণে তারা প্রকৃতিগতভাবে অনেক সম্পদ এর অধিকারী।
তাই তারা ছোটখাটো কাজের জন্য নিজেরা পরিশ্রম না করে শ্রমিক খাটায়। এবং প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে এই দুবাইয়ে যায়। কিন্তু এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে দুবাই যাওয়ার প্রসেস অনেকেই জানে না।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে আপনি যদি দুবাই যেতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে দুবাইয়ের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে এবং দেখতে হবে সেটা সরকার অনুমোদিত এজেন্ট কিনা। সরকার অনুমোদিত এজেন্ট ছাড়া আপনি কোনভাবেও দুবাইয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না।
সম্প্রতি দেখা গেছে অনেক ভুক্তভোগী আছে যারা দালালের পাল্টে পড়ে নিজের সর্বস্ব হারিয়েছে। এরপরে আপনি সেই এজেন্টের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পাসপোর্ট ভিসা সকল কার্যক্রম জমা করে এবং টাকা জমা দিয়ে দুবাই যেতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই কত কিলোমিটার
আমরা গুগল দেখেছি এবং সম্প্রতি এ গুগল ম্যাপ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে বাংলাদেশ থেকে দুবাই এর দূরত্ব আকাশপথে প্রায় ৩৫৪৩ কিলোমিটার।
আপনারা যারা প্রশ্নের উত্তরটি খুজছেন তাদের কাছে উত্তর হবে ৩৫৪৩ কিলোমিটার আকাশপথে। সাধারণত আমাদের এই ৩৫৪৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে যেতে হবে। আশা করছি আপনারা উত্তর সঠিকভাবে পেয়েছেন এবং আমাদের কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।