আমরা সকলে চাকরি করি অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে এবং যদি সেটা সরকারি চাকরি হয় তাহলে সেখানে শুধু অর্থ উপার্জন হয় না আমাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়। আমাদের উপার্জিত টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চালাতে হয় এবং দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হয়। তাই একটি জিনিস পরিকল্পনা করার আগে অবশ্যই সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখতে হবে এবং জানতে হবে সেই পদে চাকরি করতে হলে কত টাকা বেতন পাওয়া যাবে।
আজকে আমরা কথা বলবো পরিবার কল্যাণ সহকারীদের বেতন সম্পর্কে এবং তারা বর্তমানে কোন বেতনে চাকরি করছেন এবং তাদের দাবি কোন গ্রেডে উন্নতি হওয়ার সে সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনা দেখে যাওয়া যাক।
বেতন বাড়ানোর দাবি পরিবার কল্যাণ সহকারীদের
আপনারা হয়তো যারা বেতন স্কেল সম্পর্কে একটু একটু জানেন তারা জানেন পরিবার কল্যাণ সহকারীরা বর্তমানে বেতন পাচ্ছেন ১৭ তম গ্রেড থেকে। ১৭ তম এ গ্রেড থেকে তারা যে বেতনটি পান তাদের কাছে পরিবার চালানো এটা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে বর্তমানে। এত তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছেন।
এর পূর্বে আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ রোজ শুক্রবারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন দেখেছে যেখানে তারা সাত দফা দাবি নিয়ে হাজির হয়েছেন। তাদের যে সংগঠন আছে সে সংগঠনের সভাপতি আমেনা আক্তার বলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন তৃণমূলে ২৩ হাজার ৫০০ জন পরিবার কল্যাণ সহকারি রয়েছেন। যাদের মধ্যে সবাই নারী সদস্য।
এই নারীরা শোষণ বঞ্চনা বৈষম্য আর অমানবিক অবিচারের শিকার এ থেকে বাঁচতে তাদের দাবি তারা জানিয়েছেন। তাদের সরকারের কাছে অনুরোধ এই সাপ দফা দাবি গুলো মেনে নিয়ে তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিক সরকার।
পরিবার কল্যাণ সহকারীদের বর্তমানে কত টাকা বেতন প্রদান করা হয়
বর্তমানে পরিবার কল্যাণ সহকারীদের বেতন গ্রেড হচ্ছে ১৭ তম গ্রেড। তারা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে ১৭ তম গ্রেড থেকে বেতন পান। পরিবার কল্যাণ সহকারীদের বেতন গ্রেড বা বেতন স্কেল অনুযায়ী সর্বনিম্ন বেতন অথবা মূল বেতন শুরু হচ্ছে নয় হাজার টাকা থেকে। ৯০০০ টাকা থেকে তাদের সর্বোচ্চ ২১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এটা অবশ্যই মূল বেতন এর সঙ্গে আরও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং ভাতাযুক্ত রয়েছে। মনে করুন একটি মহিলা যখন পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে চাকরিতে ঢুকবে তখন তার বেতন গ্রেড হবে ১৭ তম গ্রেড এবং তিনি ৯০০০ টাকা মূল বেতন পাবেন তার সঙ্গে আনুষাঙ্গিক অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যুক্ত হয়ে তার বেতন প্রায় ডাবল হয়ে 18000 টাকার মত হবে।
এইভাবে প্রতিবছর আরো নতুন ভাবে ইনক্রিমেন্ট যুক্ত হবে এবং ইনক্রিমেন্ট বাড়তে বাড়তে তার বেতন একদিন ২১৮০০ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ হবে। তবে এই পদে যারা কর্মরত আছেন তাদের জোর দাবি হচ্ছে তাদের বেতন গ্রেড উন্নতি করা হোক এবং তাদের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষনা করা হোক । তাদের বেতন গ্রেড ১৭ নাম্বার থেকে ১৩ নাম্বার করা হোক।