যারা আউটসোর্সিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে আউটসোর্সিং শুরু করা যায় তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থেকে এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজ আমরা কথা বলব কিভাবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করা যায় তা নিয়ে। অনেকেরই আউটসোর্সিং কাজ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র শুরু করার উপায় খুঁজে না পাওয়ায় বারবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে।
আমাদের বিশ্বাস আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করার সাহস সঞ্চয় করতে পারবেন। কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলে খুব সহজেই আউটসোর্সিং শুরু করতে পারবেন সে বিষয়টি জানা খুবই জরুরী। আউটসোর্সিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে বেশকিছু বিষয় নিয়ে গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। কিভাবে আউটসোর্সিং কাজ করে সফল হতে পারবেন সেই সমস্ত পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব আজ।
আউটসোর্সিং এর কাজ শুরু করতে চাইলে প্রয়োজন হবে একটি ভালো মানের ডিভাইস। আপনারা চাইলে পার্সোনাল কম্পিউটার বিল্ড করতে পারেন অথবা একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কিনে ফেলতে পারেন। ভালো মানের ডিভাইস ছাড়া আউটসোর্সিং এর কাজ শুরু করা কখনো সম্ভব হবে না। ডিভাইসের পাশাপাশি প্রয়োজন হবে শক্তিশালী ইন্টারনেট কানেকশন।
এই দুটি জিনিস থাকলে যে কোন জায়গা থেকে আউটসোর্সিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। অনেকের ধারণা গ্রাম অথবা মফস্বল এলাকা থেকে আউটসোর্সিং এর কাজে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আপনার কাছে যদি ভালো মানের ডিভাইস থাকে এবং নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তবে দেশের যে কোন স্থান থেকে অনলাইনে কাজ করতে পারবেন।
শুধুমাত্র শক্তিশালী ডিভাইস ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আউটসোর্সিং এর কাজ করা যাবে এমনটা নয়, আমরা বলেছি এই জিনিসগুলো থাকলে আপনি আউটসোর্সিং এর কাজ শুরু করার কথা ভাবতে পারেন। আউটসোর্সিং এর কাজ করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। যদিও এই কাজটিকে আমরা আউটসোর্সিং বলতে পারিনা কিন্তু যেহেতু প্রতিটি মানুষ এই কাজগুলোকে আউটসোর্সিং বলেই অভ্যস্ত তাই আজকের লেখায়ও আমরা এ কাজগুলোকে আউটসোর্সিং বলছি। যাই হোক, নির্দিষ্ট কোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সবকিছু করতে হবে। কাজ শেখার জন্য যদি কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হয় তবে সেটাই করতে হবে অথবা কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকেও শেখা যেতে পারে।
আউটসোর্সিং করার জন্য পিসি অথবা ল্যাপটপে সেই সব সফটওয়্যার গুলো থাকা দরকার যে সফটওয়্যার গুলো দিয়ে আপনি কাজ করবেন। সফটওয়্যার হ্যান্ডেল করতে জানাটা খুবই জরুরী। বেসিক ইন্টারনেট জ্ঞান না থাকলে কোন ব্যক্তি আউটসোসিংয়ের কাজ শুরু করতে পারবে না। কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ শিখতে চাইলে সেই বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ঘাটাঘাটি করতে হবে। এর আগের পোস্টগুলোতে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম কিভাবে আউটসোর্সিং এর কাজ শেখা যায় তা নিয়ে। সেখানে আমরা বলেছিলাম আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো মূলত কি হয় তা জানার জন্য মার্কেটপ্লেসে ঘোরাঘুরি করতে হবে। মার্কেটপ্লেসে গেলে আউটসোর্সিং সম্বন্ধে ভালো ধারণা লাভ করা সম্ভব।
আউটসোর্সিং এর কাজ শুরু করার পর যদি আপনারা কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন তবে সেই সমস্যা সমাধান করার জন্য বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন। ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলোতে খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি সমস্যার সমাধান তুলে ধরা হয়। সফলভাবে আউটসোর্সিং এর কাজ করার জন্য প্রচুর পরিমাণ অনুশীলন করতে হবে। একটি কাজ শিখে রাখলেই হবে না কারন প্র্যাকটিস ছাড়া আমরা যেকোনো কাজ ভুলে যেতে পারি। আউটসোর্সিং সম্পর্কে যদি ভুল ধারণা নিয়ে বসে থাকেন তবে কাজ শুরু করা আপনার জন্য অনেক কঠিন হবে তাই চেষ্টা করুন সঠিকভাবে আউটসোর্সিং এর পরিষ্কার ধারণা নিতে। আউটসোর্সিং সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো পেতে চোখ রাখতে হবে আমাদের প্রতিটি পোস্টে।