ইতালি ভিসা প্রসেসিং বাংলাদেশ কিভাবে করবেন জেনে নিন

ইতালি ভিসা প্রসেসিং বাংলাদেশ কিভাবে করবেন জেনে নিন ২০২৩

বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে আপনি কিভাবে ইতালির ভিসা প্রসেস করতে পারবেন তার সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা সবার প্রথমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ইতালির ভিসা প্রসেসের ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র আপনাদের প্রয়োজন পড়বে। এগুলো জানাবে জরুরী একটি ব্যাপার তার কারণ হলো এই কাগজপত্র সংগ্রহ করতে অনেকে মাসের পর মাস সময় ব্যয় করে।

এরপরে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ইতালির বিভিন্ন ধরনের ভিসা সম্পর্কে যার মাধ্যমে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন কোন বিষয়টি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা ইতালির ভিসা প্রসেস সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করবো যেগুলো আপনারা আমাদের এখান থেকে অনায়াসে জানতে পারবেন।

ইতালির বিভিন্ন ধরনের ভিসা

সবার প্রথমে ইতালিতে যেতে হলে আপনাকে যে বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সেটা হলো কোন ভিসাতে আপনি ইত্যাদিতে যেতে চাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা একটি জটিল পক্ষে এবং আপনি যেকোন ভালো মানের ভিসার মাধ্যমে ইতালিতে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইতালির ভিসার ধরন সম্পর্কে জানতে হবে।

এই সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণই আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করবে। আপনি কাজের উদ্দেশ্যেই তালিতে গেলে কাজের ভিসাতে যেতে হবে এবং আপনি যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা যেতে হবে। এরকম বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিতে ইতালিতে কত ধরনের ভিসা আছে সেটা এখন জানবেন।

ইতালি কোম্পানি ভিসা

ইতালি কর্মী ভিসা

ইতালি ফ্যামিলি ভিসা

ইতালি মেডিকেল ভিসা

ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা

ইতালি টুরিস্ট ভিসা

ইতালির ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি ইতালিতে যেতে যাচ্ছেন এবং ভিসার জন্য আবেদন করবেন কিন্তু আপনার জানা নেই কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে সেটা কি করে হয়। ইতালিতে যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে সে সমস্ত বিষয়ে অবগত হতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়তে হবে। যার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ইতালি ভিসার জন্য আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট।

  • ইতালিতে যাওয়ার ভিসার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে আবেদনকারীর যে কাগজটির প্রয়োজন পড়বে সেটি হল ভ্যালির পাসপোর্ট। সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদ আছে এমন একটি পাসপোর্ট এবং যার একটি ফাঁকা পৃষ্ঠা রয়েছে এমন একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন পড়বে।
  • এরপরে যে জিনিসটি প্রয়োজন পড়বে সেটি হল আবেদনকারীর সঠিক তথ্য অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন অথবা ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড অনুযায়ী সঠিক তথ্যগুলো এখানে প্রয়োজন পড়বে।
  • আবেদনকারীর শব্দ তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি যার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পূর্ণ সাদা হতে হবে। ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে ছবিতে চশমা পরলে চলবে না। ছবিটা যথেষ্ট পরিষ্কার হতে হবে।
  • আবেদনকারীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর প্রয়োজন পড়বে।
  • ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই এখানে প্রয়োজন পড়বে ভিসা আবেদন ফরম যেটা অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন এবং সেটা পূরণ করে ভিসা অফিসে প্রদান করতে হবে।
  • আপনি যদি কাজের জন্য কোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকেন সেই চুক্তি নামে এখানে উপস্থাপন করতে হবে।

ইতালি ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে

  • সবার প্রথমে যে বিষয়টি সকলের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সেটা হল ভিসা প্রসেসিং সিস্টেম। অনেকে ভিসা প্রসেসিং সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে জানে না যার কারণে মনে করে অনেক কঠিন একটি ব্যাপার কিন্তু সঠিক তথ্য জানা থাকলে এই কঠিন ব্যাপারে আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে। এই অংশের মাধ্যমে আপনারা সম্পূর্ণ ভিসা প্রসেসিং সিস্টেম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
  • সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি ভিসা আবেদন ফাউন্ডেশন সংগ্রহ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
  • আবেদন ফর্টি সম্পূর্ণরূপে পূরণ করে এবং ভিসা আবেদন ফীড ও কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে আপনাকে সরাসরি ভিসা অফিসে উপস্থিত হয়ে সেখানে সেগুলো জমা দিতে হবে।
  • ভিসা আবেদন অফিসের কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র জমা নিবে এবং আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের একটি তারিখ দিয়ে দেবে এবং আপনাকে একটি নাম্বার দিয়ে দেবে যোগাযোগ করার জন্য।
  • এইভাবে অতি সহজে আপনি ভিসা প্রসেস করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *