কুয়েত ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কবে চালু হবে? প্রসেসিং যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন

কুয়েত ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কবে চালু হবে? প্রসেসিং যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন

কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম একটি দেশ এবং এই দেশের যাওয়ার স্বপ্ন অনেক বাঙালি নাগরিক দেখে থাকেন। অনেকের ক্ষেত্রে এই দেশে তার জীবিকা নির্বাহের জন্য যাওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ আবার অনেকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বেড়ানোর উদ্দেশ্যে অথবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে এই কুয়েত ভ্রমণ করা বেশ জরুরী। সকলের দৃষ্টিকোণ থেকে এই কুয়েত যাওয়ার জন্য যে ভিসা প্রক্রিয়া রয়েছে বা ভিসা আছে সে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিশেষ কিছু তথ্য দেওয়া হবে।

শুরুতেই বলতে চাই যারা কুয়েত ভিসা সম্পর্কে নানান তথ্যের এবং নানান প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তারা সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। আপনারা যারা কুয়েত ভিসার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো খোঁজার চেষ্টা করব। আশা করি আমাদের এখান থেকে কুয়েত ভিসা সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।

কুয়েত ভিসার ধরন

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করার জন্য ভিসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য হাতে গোনা কয়েকটি দেশেই অনুমতি রয়েছে শুধুমাত্র ভিসা ছাড়া প্রবেশের এবং সেই অনুমতির মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ ৯০ দিন সেখানে থাকতে পারবেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কুয়েতে যারা যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে।

তবে প্রয়োজনের ভিত্তিতে কুয়েতে যাওয়ার জন্য যে ভিসা রয়েছে প্রত্যেকটি ভিসার রয়েছে আলাদা আলাদা ধরণ। আজকে আমরা আপনাদের জন্য কুয়েতের বিভিন্ন ধরনের ভিসার ধরন নিয়ে এই অংশটুকু আলোচনা করব।

কুয়েত টুরিস্ট ভিসা

আপনারা যারা কুয়েতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কুয়েতে রয়েছে টুরিস্ট ভিসা। অর্থাৎ আপনারা যারা ব্যবসায়িক কাজে অথবা কুয়েতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ৩০ দিন হতে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের একটি ভিসা প্রদান করা হয় এবং সেই ভিসাকে বলা হচ্ছে কুয়েত টুরিস্ট ভিসা।

কুয়েত বিজনেস ভিসা

যেহেতু বাংলাদেশে বর্তমানে শিল্প উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ততায় চেষ্টা করা হচ্ছে পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে নিজের দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণের। সে বিষয়টি মাথায় রেখে কুয়েতে অনেক বাঙালি নিজের বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে যেতে চাই এবং সেই জন্য তাদের প্রয়োজন হয় কুয়েতের বিজনেস ভিসা।

কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন দেশে যেতে চায় তাদের জন্য তালিকার প্রথম সারিতে আছে কুয়েত নামক এই দেশ। এই দেশের মুদ্রার দাম অনেক বেশি এবং আপনি খুব অল্প পরিশ্রমে এই দেশে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আর যারা কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাই তাদের জন্য রয়েছে কুয়েতের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

কুয়েত ভিসা প্রসেসিং ডকুমেন্ট

কুয়েতে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক পন্থায় ভিসা প্রসেস করতে হবে এবং এই ভিসা প্রসেস করার যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন পড়ে সে ডকুমেন্টগুলো এখন আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

সবার প্রথমে আবেদনকারীর লিগাল ডিজিটাল পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পড়বে।

প্রয়োজন অনুযায়ী পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি যার ব্যাকগ্রাউন্ড হবে একেবারে সাদা এখানে প্রয়োজন পড়বে।

আবেদনকারী বাংলাদেশী নাগরিকত্বের সনদপত্র।

আবেদনকারী কোভিড-19 এর ভ্যাকসিন এর সব কোর্স গ্রহণ করেছে কিনা তার সনদ।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং ব্যাংক ডকুমেন্ট।

জন্ম নিবন্ধন পত্র এবং আবেদনকারী লিগেল আইডেন্টিটি কাগজ।

অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা ভিসা আবেদন ফরম সম্পূর্ণ পূরণ করে জমা দিতে হবে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে যে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে আবেদনকারী সেই কোম্পানির সকল কাগজপত্র সেখানে উপস্থাপন করতে হবে।

কুয়েতের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কবে চালু হবে

সাধারণত মহামারী কমে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে এই প্রশ্নের সম্মুখীন আমরা অনেক হয়েছি এবং এ প্রশ্নের উত্তর ইতিপূর্বে আমরা অনেকবার দিয়েছি।

তবু আজকে পরিষ্কার করে বলতে চাই আপনারা যারা কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করছেন তাদের বলব ভিসার দ্বার একেবারে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। আপনারা চাইলে যেকোন সময় কুয়েতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *