মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কি বন্ধ? মালয়েশিয়া কলিং ভিসার খরচ

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কি বন্ধ? মালয়েশিয়া কলিং ভিসার খরচ ২০২৩

আপনাদের সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার যে নতুন একটি ভিসার চুক্তি সম্পাদন হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা করব। আজকে আলোচনা করব কলিং ভিসা নিয়ে যেই কলিং ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশের বহু শ্রমিক মালয়েশিয়াতে অতি অল্প খরচে যেতে পারবে। আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আপনারা আমার সঙ্গে থাকার চেষ্টা করবেন এবং এখান থেকে জানার চেষ্টা করবেন মালয়েশিয়াতে কলিং ভিসার সকল তথ্য।

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কি

ধরুন আপনি একজন শ্রমিক এবং আপনি মালয়েশিয়াতে শ্রমিক হিসেবে যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে মালয়েশিয়ার যে কোম্পানিগুলো শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করবে তারা এজেন্ট পাঠাবে আমাদের দেশে। এজেন্ট এর মাধ্যমে আপনার সঙ্গে তারা চুক্তি করবে এবং আপনাকে শুধু তাদের চুক্তির অল্প কিছু ফি প্রদান করতে হবে।

এতে করে সেই কোম্পানি আপনার বিমান ভাড়া থেকে শুরু করে যাবতীয় ভিসা খরচ বহন করবে এবং আপনাকে মালয়েশিয়াতে নিয়ে যাবে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর সেই কোম্পানি আপনার কাজের যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে কাজ ঠিক করে দেবে এবং কাজ করাবেন। এটাই হলো মূলত কলিং ভিসা। এ ভিসার মাধ্যমে মূলত কোম্পানি শ্রমিকদের ডেকে নেয় তাদের কাজের জন্য। আর মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে এই ভিসার ঘোষণা দেয় এবং ২০২৩ সালে শুরুর দিক থেকে এই ভিসার মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ প্রদান চলছে।

মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা কি বন্ধ

চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার মনে শুধু একই প্রশ্ন মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা কি বন্ধ হয়ে আছে। মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে। তথ্য জানার পরেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা অর্থাৎ ছয় আগস্ট মানুষের কলিং ভিসা কার্যক্রম একটু স্থগিত রাখা হয়েছে কিন্তু তার মানে এই নয় সেটা বন্ধ। সাময়িকভাবে এই ভিসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে কলিং ভিসার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া সরকার। আগামী ১৫ থেকে একত্রিশে আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি কর্মী নিয়োগের নতুন আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলের স্থানীয় গণমাধ্যমের এক বিবৃতি অনুযায়ী দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারা বানান এই খবরটি সংযুক্ত করেন। তিনি আরো জানান কিছু কিছু আইন সংশোধন করা হবে এবং পুনরায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই ভিসা চালু করা হবে।

মালয়েশিয়া কলিং ভিসার খরচ

মালয়েশিয়াতে যারা কলিং ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছে তাদের কাছে সুযোগ আছে খুব অল্প খরচের মাধ্যমে মালয়েশিয়া তে যাওয়ার। আমরা পরিষ্কারভাবে আপনাদের ওপরে বুঝিয়ে দিয়েছি মালয়েশিয়াতে কলিং ভিসার মাধ্যমে যাওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে।

যে কোম্পানির সঙ্গে আপনার চুক্তি হবে সে কোম্পানি আপনার সকল খরচ বহন করবে। আপনার ভিসা প্রসেসিং খরচ থেকে শুরু করে ভিসার সকল খরচ এবং আপনার বিমান ভাড়া থেকে শুরু করে সেখানে থাকার সকল খরচ সেই কোম্পানি বহন করবে।

আপনাকে শুধু কোম্পানি সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা প্রদান করতে হবে এককালীন। সেই টাকার মাধ্যমে আপনি খুব অল্প খরচেই মালয়েশিয়াতে যেতে পারবেন। অর্থাৎ মালয়েশিয়াতে কলিং ভিসার খরচ পরছে 78 হাজার 900 টাকা।

মালয়েশিয়াতে কলিং ভিসা প্রসেসিং

কলিং ভিসার মাধ্যমে আপনি যদি মালয়েশিয়াতে যেতে চান তাহলে আপনাকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে। এই কলিং ভিসার মাধ্যমে আপনারা যদি যেতে চান তাহলে অবশ্যই সেই কোম্পানির সঙ্গে সবার প্রথমে আপনাকে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।

কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেলে সেই কোম্পানি আপনার যাবতীয় খরচ বহন করে আপনাকে নিয়ে যাবে এবং ভিসা প্রসেসিং সকল কার্যক্রম সেই কোম্পানির এজেন্ট করে দিবে। আপনাকে শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে এবং তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনার সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনার ভিসা কার্যক্রম প্রক্রিয়া সমাধান করবে। তাই কলিং ভিসার মাধ্যমে যদি আপনি মালয়েশিয়াতে যেতে চান তাহলে খরচ কমে যাবে এবং আপনার জটিলতাও অনেক কমে যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *