আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের নাম

আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের নাম

বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা কমেন্ট বক্সে বেশি কিছু কমেন্ট পড়ছি যেখানে অনেকেই আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চেয়েছেন। আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করার আগে আপনাদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন আছে, প্রশ্নটি হল আউটসোর্সিং সম্বন্ধে আপনার কি কি জানা আছে? আউটসোর্সিং কিভাবে করতে হয়, আউটসোর্সিং এর উপকারিতা, আউটসোর্সিং করে আদৌ টাকা আয় করা যায়

কিনা এ তথ্যগুলো যদি আপনার জানা থাকে তবে আপনি নিশ্চয়ই এমন প্রশ্ন করতে চাইবেন না যে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের নাম কি। আবার আপনি এমন প্রশ্ন করবেন না যে আউটসোর্সিং করে এমন প্রতিষ্ঠান কোনগুলো। সুতরাং আউটসোর্সিং সম্বন্ধে ঠিকমতো না জানার কারণে আমরা অনেক সময় ভুলভাল প্রশ্ন করে থাকি। এই ভুলভাল প্রশ্নের দিন শেষ। এখন থেকে সঠিক তথ্য জেনেই যে কোন বিষয় নিয়ে সামনে এগোতে হবে।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং দুটোকে এক জিনিস মনে করে। আমরা বারবার আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাচ্ছি যে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং দুটি একই জিনিস নয়। আউটসোর্সার ও ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। বলতে পারেন আউটসোর্সার ও ফ্রিল্যান্সার একটি অপরটির বিপরীত। আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের নাম জানার আগে আপনার কাছে আমি অনুরোধ করব আউটসোর্সিং বিষয়টি কি এ বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটের যে আর্টিকেলটি আছে তা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেলুন। আমার বিশ্বাস ওই আর্টিকেলটি পড়ার পর আউটসোর্সিং সম্বন্ধে আপনার ধারণা স্পষ্ট হবে এবং আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান আদৌ হয় কিনা এ বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী অনেক ছোট হয়ে আসছে। প্রতিটি তথ্য ও সঠিকভাবে জেনে নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। তথ্য জেনে নেওয়ার জন্য আমরা মিডিয়া ব্যবহার করতে পারছি খুব সহজে। এ যুগে এসেও যদি আউটসোর্সিং সম্বন্ধে আপনার স্পষ্ট ধারণা না থাকে তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। জীবন যুদ্ধে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য হলেও আউটসোর্সিং বিষয়টি কী তা জেনে নেওয়া দরকার। তাছাড়া আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য না বুঝতে পারলে আপনি কখনোই আউটসোর্সিং অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর মত কাজ শুরু করতে পারবেন না। চলুন এই বিষয়টি ক্লিয়ার করা যাক।

কোন নির্দিষ্ট পণ্য যদি আমরা বাইরে থেকে নিয়ে আসি তবে সেটিকে আউটসোর্সিং বলা যেতে পারে। অর্থাৎ কিছুদিনের জন্য আপনি যদি একজন ইলেকট্রিশিয়ান আর করতে চান এবং সেই ইলেকট্রিশিয়ান যদি বাইরে থেকে নিয়ে আসতে হয় তবে এই প্রক্রিয়াটিকে আমরা আউটসোর্সিং বলতে পারব। ইলেকট্রিশিয়ান যদি আপনার নিজের অফিসের হয়ে থাকে অথবা এমন কেউ তাকে যাকে আপনি নির্দিষ্ট বেতনে চাকরিতে রেখেছেন তবে সে প্রক্রিয়াটিকে আমরা আউটসোর্সিং বলতে পারব না।

অর্থাৎ আমরা একটি প্রক্রিয়াকে তখনই আউটসোর্স বলতে পারবো যখন আমাদের নিয়ে আসা বস্তুটি অথবা কোন একটি সার্ভিস আমরা বাইরে থেকে পাব। এখানে বাইরে থেকে বলতে নিজে অথবা নিজের প্রতিষ্ঠান যে কাজটি করছে না তা বোঝানো হচ্ছে। অর্থাৎ আমরা এমন কাউকে হায়ার করব যে কিনা মুক্তভাবে কাজ করে। আর যারা মুক্ত ভাবে কাজ করে থাকে তাদেরকে আমরা ফ্রিল্যান্সার বলে থাকি।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে আউটসোর্সিং করার জন্য নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না। যেকোনো ব্যক্তি যে কোন অবস্থায় আউটসোর্সিং করতে পারে, হতে পারে তার নিজের জন্য অথবা তার প্রতিষ্ঠানের জন্য। এইজন্যই আমরা প্রথমে বলেছিলাম আউটসোর্সিং এর প্রতিষ্ঠান কি তা জানার জন্য আপনাকে আউটসোর্সিং সম্বন্ধে ভালো ধারণা রাখতে হবে।

যেহেতু আউটসোর্সিং সম্বন্ধে আপনার মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন তাই এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে আউটসোর্সিং এর জন্য কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান নেই বরং যে কোন প্রতিষ্ঠান যেকোনো সময় আউটসোর্সিং করতে পারে। এমনকি একজন ব্যক্তি নিজের কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও যে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন সার্ভিস নিতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *