সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার? ভিসা দাম কত ২০২২

সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার? ভিসা দাম কত ২০২৩

সৌদি আরবে যারা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন অথবা যারা সৌদি আরবে নিয়মিত যাতায়াত করেন তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাগজ হচ্ছে সৌদি আরবের ভিসা। যারা এই সৌদি আরবের ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাচ্ছেন তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আজকের এই আর্টিকেলে। সবার প্রথমে আজকে কি নিয়ে আলোচনা করা হবে সেটা পরিষ্কার করি।

আপনারা বললে বুঝতে পারবেন যে একটি দেশে থেকে অন্য দেশে যখন একজন ব্যক্তি যায় তখন অবশ্যই তার কিছু উদ্দেশ্য থাকে এবং সেই উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ভিসা চালু রয়েছে গোটা বিশ্বব্যাপী। আপনি অন্য দেশে কি কাজ করতে যাবেন সেটা অনুমতি হিসাবে আপনাকে ভিসাতে সেটা উল্লেখ করতে হবে এবং আপনাকে সেই ধরনের ভিসায় প্রদান করা হবে। আজকে আমরা সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে কথা বলব এবং সৌদি আরবে কয় ধরনের ভিসা আছে বাংলাদেশীদের জন্য সে বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।

সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের ভিসা

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় কয়েক লাখ মানুষ সৌদি আরবে যায় সেটার পেছনে অনেক উদ্দেশ্য থাকে সেই উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসাকে বিভিন্ন ধরনের ভাগ করা হয়েছে আমরা প্রত্যেকটি ভাগের ভিসা সম্পর্কে এখন আপনাদের ধারণা দেবো আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

সৌদি আরব হজ ভিসা

মুসলমান হিসেবে জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং সেই ফরজ কাজটি করতে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ মুসল্লী সৌদি আরবে যায়। আর যারা হজ করতে যায় তাদের জন্য আলাদাভাবে হজের ভিসা করতে হয়। এই ধরনের ভিসাকে বোঝানো হয়েছে সৌদি আরবের হজের ভিসা।

সৌদি আরব ওমরা ভিসা

হজ করার পাশাপাশি ওমরা হজের ব্যবস্থা রয়েছে। মক্কা শরীফের প্রতিদিনই ওমরা হজ পালনকারী মুসল্লিদের দেখতে পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশ থেকে প্রায় সব সময় ওমরা হজ পালন করতে প্রচুর মানুষ সৌদি আরবে প্রবেশ করে। এই বছরে ৩১ জুলাই থেকে ওমরা হজ পালন করতে পারবে হাজীরা সেই ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে ওমরা হজ এর জন্য যে ভিসা করা হয় সেই ভিসাকে ওমরা ভিসা বলা হচ্ছে।

সৌদি আরব ওয়ার্ক পারমিটেশন

জীবিকার তাগিদে যারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে যেতে চায় তাদের জন্য সৌদি আরব ব্যবস্থা করে রেখেছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। আপনারা যারা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বরাদ্দ আছে।

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা

সৌদি আরব কম্পানি ভিসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নতুন একটি আর্টিকেল আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি আপনারা চাইলে সেখানে দেখে আসতে পারেন তবে আমরা ছোট ভাবে বলতে পারি যারা কোম্পানির মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন সেই ভিসা গুলোকে কোম্পানি ভিসা বলা হচ্ছে।

সৌদি আরব ড্রাইভিং ভিসা

প্রতিবছর চাকুরি হিসেবে ড্রাইভার নিয়োগ দেয় সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানি এবং যারা এই ধরনের কাজ করতে আগ্রহী তারা চাইলেই ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে যেতে পারে এবং সেখানে চাকরি করতে পারে।

সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা

অনেকেই বিভিন্ন ধরনের উচ্চ শিক্ষার জন্য সৌদি আরবে যেতে চাই এবং সেই ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাংলাদেশে যারা ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করতে চায় বড় বড় উচ্চপর্যায়ে মাওলানা তারা সাধারণত স্টুডেন্ট হিসাবে সৌদি আরবে যেতে পারবে।

ফ্যামিলি ভিসা

আপনি চাইলে পরিবারসহ সৌদি আরবে যেতে পারেন এবং সেখানে এক থেকে তিন মাস থাকতে পারেন আর এই ধরনের ভিসাকে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ ফ্যামিলি ভিসা নাম দিয়েছে এবং তারা এই ভিসার অনুমোদন দিয়েছে।

টুরিস্ট ভিসা

যারা সাধারণত প্রকৃতিপ্রেমী এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করতে পছন্দ করে তাদের জন্য সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ রেখেছে সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসার যার মাধ্যমে সেই ব্যক্তি এই ভিসাতে এক থেকে তিন মাস সৌদি আরবে অবস্থান করতে পারবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *