আউটসোর্সিং বলতে কি বুঝায়

আউটসোর্সিং বলতে কি বুঝায়

বর্তমান সময়ে প্রচলিত একটা ধারণা রয়েছে যে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনলাইন থেকে বসে বসে টাকা আয় করা সম্ভব। এ ধারণাটি কতটা সত্য তা জানার জন্য আমাদের বুঝতে হবে অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। অনেকেই ভেবে থাকেন অনলাইন থেকে টাকা আয় করার এই পদ্ধতিকে হয়তো আউটসোর্সিং বলে। সঠিক তথ্য না জেনে দিনের পর দিন ভুল ধারণা মনের মধ্যে পুষে রাখা মোটেও ঠিক নয়।

যেহেতু বর্তমান সময়ে যেকোনো তথ্য জেনে নেওয়া খুবই সহজ। আপনার মনে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে গুগল অথবা ইউটিউব এর মাধ্যমে সে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেতে পারেন মুহুর্তের মধ্যেই। এরপরও দিনের পর দিন ভুল ধারণা মনের মধ্যে পুষে রাখবেন? আমার মনে হয় আপনি যদি একজন বুদ্ধিমান মানুষ হয়ে থাকেন তবে কখনোই ভুল ধারণা নিয়ে বসে থাকবেন না। আপনার উচিত হবে এই বিষয়ে পড়াশোনা করে স্পষ্ট ধারণা সংগ্রহ করা।

যেহেতু আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এসেছেন সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি আউটসোর্সিং সম্বন্ধে জানার আগ্রহ আপনার ভেতর রয়েছে। এই আগ্রহটি থাকা খুবই জরুরী ছিল কারণ বর্তমানে পৃথিবী কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, কোন কাজগুলো করলে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা সম্ভব তা জেনে নেওয়ার জন্য হলেও এই লেখার শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিত। আউটসোর্সিং বিষয়টি কি তা বোঝার জন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কি সেটিও জানতে হবে।

আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেক শক্ত একটি যোগসূত্র রয়েছে। কেউ যদি আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং দুটি জিনিসকে এক মনে করে থাকেন তবে আপনাকে সমবেদনা জানানো ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই। তবে আমরা এখন একটি কাজ করতে পারি আর তা হলো আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে আপনার মাথায় ঢুকিয়ে যেতে পারে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনাকে এখন কি করতে হবে, শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন আউটসোর্সিং এর এ টু জেড জেনে নিন।

আপনার আশেপাশে অনেক মানুষ হয়েছে যারা অনলাইনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। এগুলো দেখার পর স্বাভাবিকভাবেই আপনি বসে বসে ভাবছেন কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে এত টাকা আসছে। অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন। কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোন নির্দিষ্ট কাজ করে টাকা আয় করা সম্ভব। এই কাজগুলো নিশ্চয়ই কেউ নিজের জন্য করছে না। এই কাজগুলো করার পর তারা ক্লায়েন্টের কাছে হ্যান্ড ওভার করছে। এখানে যে ক্লায়েন্টরা কাজগুলো কিনে নিচ্ছে তারা মূলত আউটসোর্স করছে।

আর এই প্রক্রিয়াটিকে আমরা বলছি আউটসোর্সিং। অপরদিকে যে দক্ষ ব্যক্তিটি এই কাজগুলো হ্যান্ড ওভার করছে সে হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার। সে মুক্তভাবে কাজ করছে এবং ক্লায়েন্টকে সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে। এ কাজগুলো করতে তাকে ঘড়ি ধরে পরিশ্রম করার প্রয়োজন হচ্ছে না। ফ্রিল্যান্স ছাড়া তাদের ইচ্ছামত যখন খুশি কাজ করতে পারে তবে সঠিক সময়ের মধ্যে ক্লায়েন্টের কাছে কাজগুলো পাঠাতে হয়। ফ্রিল্যান্সাররা চাইলে যেকোনো সময় কাজ না করা সিদ্ধান্ত নিতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে তারা সেই কাজের জন্য কোন পেমেন্ট পাবে না।

যারা যারা আউটসোর্সিং বিষয়টি বুঝার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন তারা নিশ্চয়ই আজ সফল হয়েছেন। আজ আমরা স্পষ্টভাবে আউটসোর্সিং এর ধারণা নিতে পেরেছি। আপনার আশেপাশে কোন ব্যক্তি যদি আউটসোর্সিং সম্বন্ধে জানতে চায় তবে তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। আউটসোর্সিং শব্দটি এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কিন্তু এরপরও আমরা এর আসল অর্থ জানতে পারিনি। সামনের দিনগুলোতেও এমন কোন বিষয়ে তথ্য জানার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমাদের পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে এসে জানাবেন, আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *