গ্রাম্য পুলিশের নতুন বেতন কত ২০২২

গ্রাম্য পুলিশের নতুন বেতন কত ২০২৩

গ্রাম্য পুলিশ আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি নাম এবং আমরা ফোরামেই যারা গ্রামে বসবাস করি তারা বাড়ির আশেপাশে গ্রাম্য পুলিশকে দেখে থাকে। সাধারণ ভাষায় আমরা যাদেরকে আনসার বলে থাকি তারাই মূলত গ্রাম্য পুলিশ হিসেবে পরিচিত। তবে আনসার এবং গ্রাম্য পুলিশের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য যেটা আমরা আপনাদের অন্য একটি আর্টিকেলে বোঝানোর চেষ্টা করব।

গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রাম্য পুলিশকে জানানো হয় এবং এখানে গ্রাম্য পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে এ সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মানুষজনকে সহায়তা করে গ্রামের প্রতিনিধিদের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং তার মাধ্যমে সমাধান করানো। এ সকল গ্রাম্য পুলিশ অবশ্যই সরকার কর্তৃক বেতন ও ভাতা পেয়ে থাকেন আজকে আমরা সেই গ্রাম্য পুলিশের বেতন ভাতা নিয়ে কথা বলতে এসেছে। আপনারা যারা গ্রাম্য পুলিশের নতুন বেতন ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা একেবারেই সঠিক জায়গাতে এসেছেন।

গ্রাম্য পুলিশের নতুন বেতন স্কেল

আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি এবং গ্রামীন পরিবেশকে ভালোবাসি তাদের স্মৃতিতে সবসময় গ্রাম্য পুলিশ থাকবে। পায়ে হেঁটে হাতে একটা লাঠি নিয়ে অথবা সাইকেলে করে পেছনে একটা লাঠি নিয়ে আস্তে আস্তে চলে যাওয়া গ্রাম্য পুলিশ অবশ্যই আমাদের স্মৃতিতে থাকবে। যদিও বর্তমান যুগে এই গ্রাম্য পুলিশের দায়িত্ব এবং গ্রাম্য পুলিশের গুরুত্ব কমে গেছে কিন্তু আমরা সারা জীবন এই গ্রাম্য পুলিশকে অনেক বেশি মিস করবো।

এই ক্যারেক্টারগুলো সম্পূর্ণ এমন একটি ক্যারেক্টার যাদের কখনো ভোলা যায় না। আমরা যারা ছোটবেলাতে পুলিশ দেখে ভয় পেতাম তারা সাধারণত পুলিশ দেখা শুরু করেছিলাম এই গ্রাম্য পুলিশ দেখেই। কিন্তু বড় হয়ে যখন বুঝতে পারলাম এই গ্রাম্য পুলিশ আসল পুলিশ নয় তখন হয়তো আর এই ভয় তাদের প্রতি হত না। আজকে আমরা সেই গ্রাম্য পুলিশের সঠিক একটি বেতন কাঠামো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি।

আপনারা হয়তো জানেন না গ্রাম্য পুলিশদের প্রতি বছর সরকারি অংশ থেকে সম্মানে অর্থাৎ বেতন প্রদান করা হয় ৬১ কোটি ৪২ লাখ ৮ হাজার টাকা। এটা অনেক বড় টাকা হলেও গ্রাম ও মহল্লাতে প্রচুর পরিমাণে গ্রাম্য পুলিশ আছে যার কারণে তাদের মধ্যে টাকাটা ভাগ হয়ে যায় এবং অনেক কম বেতন তারা পান। এর মধ্যে দফাদাররা প্রতি মাসে জনপ্রতী পান ১,৩০০ টাকা ও মহলাদাররা ১১০০ টাকা।

একজন গ্রাম্য পুলিশ কত টাকা বেতন পান ২০২৩

সাধারণত গ্রাম্য পুলিশ একটি দায়িত্ব এবং এই দায়িত্ব থেকে যারা দূরে যেতে চান না তারা মূলত এই দায়িত্বে নাম লেখান। এটা খুব বেশি বেতনের চাকরি নয় সাধারণত ভাতা হিসেবে তাকে সম্মানী প্রদান করা হয় এবং তার দায়িত্ব খুবই কম থাকে। একজন গ্রাম্য পুলিশ মাসিক খুবই ন্যূনতম বেতন পেয়ে থাকেন যেটা তার পক্ষে পকেট খরচ হিসাবে ধরা যেতে পারে।

আমরা জানতে পেরেছি যে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গ্রাম্য পুলিশদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখানে যে বেতন কাঠামোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে নতুন স্কুলে একজন দফাদারের মাসিক বেতন দাঁড়াবে 6000 টাকা। বর্তমানে তারা পাচ্ছে নূন্যতম বেতন ৩৪০০ টাকা।

আর যারা মহল্লাদার আছেন তাদের জন্য ৫০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে কিন্তু বর্তমানে তারা পাচ্ছেন শুধুমাত্র ৩০০০ টাকা। যদি এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় তাহলে বটন বেতনের তুলনায় ১০৫.৮৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এবং ১১৬.৯৬ শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবের প্রধান যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয় সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেতন দ্বিগুণ হওয়ার কথা।

এর পূর্বে ২০১৫ সালের ২৯ শে মার্চ গ্রাম পুলিশের বেতন বাড়ানো হয় এবং ওই সময় বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল দফার দারদের ৩৪০০ টাকা এবং মহল্লাদারদের ৩০০০ টাকা। যদি ২০২৩ সালে এই প্রস্তাব গৃহীত হয় তাহলে অবশ্যই ওপরের উল্লেখিত 6000 টাকা এবং ৫০০০ টাকা বেতন নির্ধারণ করা হবে গ্রাম পুলিশের জন্য।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *