দুবাইয়ে কাজের ভিসার বেতন কত ২০২২

দুবাইয়ে কাজের ভিসার বেতন কত ২০২৩

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। বাংলাদেশের বর্তমানে বেকারত্বের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সবথেকে বড় দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন যাবত পড়াশোনা শেষ করার পরে চাকুরীর কোন সন্ধান পাচ্ছেন না তারা শিক্ষিত বেকার এবং তারা চাকুরী শেষ করার পর বিভিন্ন জায়গাতে খোঁজাখুঁজি করার পরও চাকরি না পাওয়ার পর হতাশ হচ্ছে।

এছাড়া গ্রামিন পর্যায়ে কিছু শব্দ বেশি বেকারত্ব আছে এবং কিছু রয়েছে ঋতু ভেদে বেকার এই সকল ধরনের বেকারত্ব মিলিয়ে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে যার কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সে দিক বিবেচনা করে বহু বছর আগে থেকে বাংলাদেশ মানবসম্পদ রপ্তানি করছে বিভিন্ন দেশে যার মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি তাদের পারিবারিকভাবে সচ্ছলতা ফিরে আসছে।

ঠিক তেমনি দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে দুবাইয়ে জনসম্পদ রপ্তানি করা হয় এবং সেখানে কাজের জন্য যে লোকজন প্রয়োজন হয় সেই শ্রমিক গুলো বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। আজকে সেরকম বিষয়ে কথা বলবে এবং আমরা আপনাদের জানাবো আপনি যদি দুবাইয়ে কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে সেখানে কি পরিমান বেতন পেতে পারেন সেই সম্পর্কে।

দুবাই কাজের ভিসা

আমরা যতই হাসি ঠাট্টা করুন না কেন নিজের দেশ ছেড়ে একজন ব্যক্তি যখন নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে অন্য দেশে পাড়ি জমায় শুধুমাত্র জীবিকা নির্বাহের জন্য এবং নিজের পরিবারকে ভালো রাখার জন্য তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে তার কতটা দায়বদ্ধতা আছে তার পরিবারের উপর।

এত বড় কষ্ট করার ফলেও সে বিদেশে যেতে চাচ্ছে কারণ সে তার পরিবারকে ভালো দেখতে চায় এবং নিজেকে পরিবর্তন করতে চাই আর এই হিসেব থেকে আমরা বলতে পারি তারা আসলেই ভালো মানের মানুষ এবং তারা দেশের অর্থনীতিতে যে পরিমাণ রেমিটেন্স প্রদানের মাধ্যমে অবদান রাখছে তাদেরকে বর্তমানে ডাকা হয় রেমিটেন্স যোদ্ধা নামে।

বর্তমানে বাংলাদেশে যারা বেকার শ্রমিক রয়েছে তাদের জন্য সুবিধা বা সুযোগ আছে দুবাইয়ে কাজের এবং বর্তমানে প্রচুর দুবাই কনস্ট্রাকশন কাজ থেকে শুরু করে বহু কাজ হচ্ছে এবং বাসা বাড়িতে কাজের লোক নিয়োগ হচ্ছে আপনারা চাইলে সেখানে ভ্রমণ করতে পারেন অথবা কাজের জন্য যেতে পারেন।

দুবাই কাজের ভিসার বেতন

দুবাই কাজের ভিসার বেতন সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পূর্বে আপনাদের কিছু জানানো দরকার প্রয়োজন সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে এবং কাজ অনুযায়ী আপনাকে সেখানে বেতন প্রদান করা হবে। আপনি যদি দুবাই যাওয়ার জন্য বেতন সম্পর্কে ধারণা নেয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের আর্টিকেলে ঢোকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়টিও জানতে হবে দুবাই গেলে আপনি কি কি কাজের সুযোগ পাবেন।

এখানে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সুযোগ পাবে দুবায়ে গিয়ে কাজ করার তাই আশা করছি আপনারা যারা দুবাই গিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এখান থেকে দুবাইয়ে কি কি ধরনের কাজ করা যায় সেই বিষয়ে অবগত হতে পারবেন। তবে আপনি যাই করুন না কেন দালাল থেকে মুক্ত থাকুন তার কারণ হলো দালালের পাল্টে পরে আপনি সব কুল হারাতে পারেন এবং নিজের জীবনের সর্বশেষ বা সবথেকে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন।

দুবাই গেলে আপনি বাসা বাড়িতে রান্নার কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং বাসাবাড়ি কৃষক হিসেবে কাজ করতে পারেন এর পাশাপাশি মালি হিসাবেও কাজ করতে পারেন। আপনারা চাইলে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক এবং গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং গৃহবা তো ঘোড়ার মোদি হিসেবে কাজ করতে পারেন এছাড়াও আপনারা চাইলে বাড়ির সঙ্গী হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং চাইলে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও বিশেষ নার্স কর্মী এবং হাউসকিপার হিসেবেও কাজ করতে পারেন।

দুবাইয়ের বিভিন্ন কাজের উপর ভিত্তি করে সেখানে বেতন প্রদান করা হয় ৬০০ থেকে ৮ হাজার দিরহাম যা বাংলাদেশে থাকায় রূপান্তর করলে প্রচুর পরিমাণে টাকা হয় আশা করছি আপনারা এখান থেকে ধারণাটি বুঝতে পেরেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *