ফ্রান্সে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার নিয়মাবলী ২০২২

ফ্রান্সে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার নিয়মাবলী ২০২৩

বিশ্বের অন্যতম সুন্দর দেশ হচ্ছে ফ্রান্স এবং এই দেশে বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত কি তথ্য আছে তার একটি বিস্তর তালিকা আমরা নিয়ে এসেছি। অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি তাই আশা করব আপনারা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন এবং আমাদের তথ্যগুলো বোঝার চেষ্টা করবেন।

যারা সাধারণত ফ্রান্সে থেকে বিভিন্ন ধরনের চাকুরীর জন্য চেষ্টা করছেন বা যারা বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে যেতে চাচ্ছেন বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে বা চাকুরীর মাধ্যমে তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল বেশ সুন্দর কাজের আর্টিকেল। ফ্রান্সের মতন দেশে যদি আপনি সেটেল হয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার ভবিষ্যত একেবারে উজ্জ্বল। চলুন আমাদের এখান থেকে জেনে নিয়ে ফ্রান্সের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত কি কি তথ্য আছে।

ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগে

আমরা হয়তো ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ যাওয়ার কথা শুনেছি। তবে অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সের দেশে এত পরিমাণ বাংলাদেশি যেতে পারবে না তার কারণ হলো সেখানে তারা যোগ্য এবং অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ করে এবং তার পরিমাণ খুবই কম।

বিশেষ করে ফ্রান্সে যেতে হলে অফিসিয়াল চাকরির মাধ্যমে যাওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে এবং এখানে আপনি যদি যেতে পারেন তাহলে আপনি অনায়াসে প্রতি মাসে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

তাই অনেকেই চেষ্টা করে ফ্রান্সের মতন সুন্দর একটি দেশে নিজের ভবিষ্যৎ সেটেল করতে তাই তারা সেখানে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। তবে এখানে অবশ্যই কিছু নিয়ম আছে এবং আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সেখানে যাওয়ার আবেদন করতে হবে বিভিন্ন সার্কুলারের ভিত্তিতে। আপনি যদি সেই অনুমোদন পেয়ে যান তারপরে সেখানে যেতে পারবেন তবে এখানে খরচের ব্যাপারটা অবশ্য আপনাকে জানতে হবে।

ফ্রান্সে যদি আপনি যেতে চান এবং সেখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে ভিসা করাতে হবে এবং সেই ভিসার জন্য আপনার লাগবে প্রায় চার লক্ষ টাকার মত। এর সঙ্গে আপনার এজেন্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণে কিছু এক্সট্রা টাকা দিতে হবে আবার বিমান ভাড়া এটা সঙ্গে যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে বর্তমানে ফ্রান্সে যেতে হলে আপনার প্রায় সাত লক্ষ টাকা খরচ হবে।

ফ্রান্সের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে তথ্য

সবার প্রথমে আপনাদের জানাবো ফ্রান্সে যেতে হলে আপনি যে ওয়ার্ক ভিসা করবেন সেটাতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে।আপনি সরাসরি ফ্রান্সে যেতে পারবেনা তার কারণে আপনাকে তাদের অনুমতি নিতে হবে এবং অনুমতির জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিসা করতে হবে। ভিসা প্রসেসের ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে সেটা আপনাদের এখন জানাবো।

অবশ্যই প্রথমে একটি আন্তর্জাতিক এবং ভ্যালিড যার মেয়াদ এখনো এক বছর রয়েছে এমন একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন পড়বে।
আবেদনকারীর ছবি প্রয়োজন পড়বে যে ছবির সাই জ হতে হবে ৩৫ বাই ৪৯ মিলিমিটার।
এছাড়াও এই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে সাদা এবং একেবারে সদ্য তোলা অর্থাৎ গত তিন মাসের মধ্যে তোলা এমন ছবি এখানে দিতে হবে।
আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এখানে জমা দিতে হবে এবং তার সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।
আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট অর্থাৎ আপনি ফ্রান্সে যেতে হলে অবশ্যই কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে যেগুলোর সার্টিফিকেট এখানে দিতে হবে।
আলাদাভাবে যদি কোন কাজে এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেই কাজে এক্সপার্ট হওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সেই কাজের সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে এখানে।
বর্তমানে বিশ্বে বড় বড় দেশে যাবার জন্য ইংরেজি ভাষার অভিজ্ঞতা প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি সার্টিফিকেট লাগে এবং সেটা হল IELTS সার্টিফিকেট। অবশ্যই ফ্রান্সে যাওয়ার জন্য এই সার্টিফিকেট এর গুরুত্ব সব থেকে বেশি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *