১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ?

১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ?

প্রিয় পাঠক, আজ আমরা আলোচনা করব এক মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা আয় হয় সে সম্পর্কে। আপনারা অনেকে এই বিষয়ে জানেন না এবং এই বিষয়ে সার্চ করে থাকেন। আপনাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

ইউটিউব হল এই আধুনিক বিশ্বের ইন্টারনেট জগতে একটি জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। এখানে মানুষ তাদের অবসর সময় কাটানোর জন্য ফানি ভিডিও, সিনেমা, নাটক, নাচ, গান ইত্যাদি দেখে থাকে। ইউটিউবে বিভিন্ন চ্যানেল থাকে। সেই চ্যানেল থেকে বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন কোয়ালিটির ভিডিও আপলোড করে থাকে। আমরা সেই ভিডিওগুলো বিভিন্ন চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার হওয়ার মাধ্যমে দেখতে পাই এবং নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন ভিডিও সাজেশনও পাই।

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা আয় হয়। কিন্তু এই বিষয়টি একটি সাধারণ হিসাবে নির্ণয় করা কঠিন। ইউটিউব থেকে বিভিন্ন উপায়ে উপার্জন করা যায়। অ্যাডসেন্স, গুগলের মনিটাইজেশন সেবা নিয়ে থাকেন যদি কোন ইউটিউবার তাহলে ভিউ থেকে আয়ের পরিমাণ জিডিপি ও জিওগ্রাফির ওপর নির্ভর করবে। যে দেশের জিডিপি কম সেই দেশ থেকে ভিউ আসলে আপনারা আয় হবে কম এবং যে দেশের জিডিপি বেশি সেই দেশের ভিউ এর জন্য আয়ের পরিমাণও হবে বেশি। আপনার ভিডিওতে ভিউ কোন দেশ থেকে আসছে সেটার ওপর নির্ভর করবে আপনার ইনকাম। ইউরোপীয় দেশগুলো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মত দেশ থেকে ভিউ আসলে আপনার ইনকাম বেশি হবে। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশের মত দেশ থেকে ভিউ আসলে অনেক কম টাকা আসবে।

আমরা যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখি তখন সেই ভিডিওতে বিভিন্ন সময়ে অ্যাড আসে। আসলে এই অ্যাড থেকেই ইনকামটা হয়। অ্যাডের জন্যই একজন ইউটিউবার কে ইউটিউব টাকা দিয়ে থাকে। আপনার একটি ভিডিওতে যত বেশিআ অ্যাড দেখানো হবে তত বেশি টাকা পাবেন। বিভিন্ন দেশে অ্যাডের দাম, সিপিএম এগুলোর ওপরেও এই আয় নির্ভর করে। যে দেশের সিপিএম যত বেশি, সে দেশের অ্যাড এর দাম বেশি এবং সেই দেশের ভিউ পেলে ইনকামও বেশি হবে।

ভারতীয় বা বাংলাদেশী ১ মিলিয়ন ভিউতে আপনি ১৫০ থেকে ২০০ ডলার আয় করতে পারবেন আনুমানিকভাবে। আবার আপনার ভিডিও যদি কোন কোম্পানি স্পন্সর করে, সেখান থেকেও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।

আপনার আপলোডকৃত ভিডিওটি কতটুকু লম্বা বা ভিডিওটি কত মিনিটের এর উপরেও আপনার আয় নির্ভর করবে। আপনার ভিডিওর ডিউরেশন যদি ৮ মিনিটের কম হয় তাহলে তাতে অ্যাড দেখাবে কম। আর আপনার ভিডিওটির ডিউরেশন যদি ৮ মিনিট বা তারও বেশি হয়, তাহলে আপনি নিজে অ্যাড বসাতে পারবেন ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করে। এতে আপনার আয় বেশি হবে।

আবার সময়ভেদে অ্যাডের দাম বাড়ে বা কমে। ঈদের সময় বা দুর্গাপূজার সময়ে অ্যাডের দাম অন্য সময়ের তুলনায় বেশি। আবার বিশ্বকাপের সময় অ্যাডের দাম বেড়ে যায় সাধারণ খেলার সময়ের তুলনায়। তখন সেই ভিডিওগুলোতে অ্যাডের দাম ওঠানামার কারণে কম বা বেশি ইনকাম হয়।
বিভিন্ন ধরনের অ্যাড আছে। আপনার ভিউয়ার কোন অ্যাডটি দেখছে তার ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। আমরা কিছু অ্যাড দেখি যেগুলো স্কিপ করা যায়। আবার কিছু অ্যাড আছে যেগুলো স্কিপ করা যায়না, পুরো অ্যাডটাই দেখতে হয়। এই ভিন্ন ভিন্ন অ্যাডের জন্যও আপনার পকেটে ঢুকবে ভিন্ন পরিমাণের টাকা।

তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা ইনকাম হয় এটা কোনভাবেই নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। এটা বেশ জটিল একটা হিসাব। ইউটিউবে ভিডিওতে ভিউ এর পাশাপাশি ভিউয়ার্স এর লোকেশন এবং ভিডিওর ডিউরেশনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু ভিউ আর সাবস্ক্রাইবার দিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। কারন ইউটিউব পলিসিতে কোথাও এটা লেখা নেই যে আপনি ভিউ এর পরিবর্তে টাকা পাবেন বা সাবস্ক্রাইবারের বিনিময়ে টাকা পাবেন। আপনি গুগল মনিটাইজেশন সেবা অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনার ইনকাম নির্ভর করবে আপনার ভিউয়ার কোথায় বসে কতক্ষণ ধরে আপনার ভিডিওটি দেখছে তার ওপর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *